টানা তিন ম্যাচ জয়ের পর কোপা আমেরিকায় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে উরুগুয়েকে হারিয়ে জয়ের মুখ দেখে আর্জেন্টিনা। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে প্যারাগুয়েকে হারিয়ে সেই ধারা অব্যাহত রাখল তারকা।
ব্রাসিলিয়ায় প্যারাগুয়েকে একমাত্র গোলে হারায় ১৪বারের কোপা চ্যাম্পিয়ন দলটি। দলের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন আলেহান্দ্রো পাপু গোমেস।
ব্রাজিলের রাজধানীর মানে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে নতুন চেহারার এক আর্জেন্টিনা দলকে নামান কোচ লিওনেল স্কালোনি। আগের ম্যাচের রদরিগো দে পল,জোভানি লো সেলসো ও নিকোলাস ওতামেন্দিকে বদল করেন তিনি।
একাদশে আনেন পাপু গোমেস, সার্হিও আগুয়েরো ও আনহেল দি মারিয়াকে। তবে নিজের রেকর্ড ম্যাচে একাদশে থেকেই শুরু করেন দলের চালিকাশক্তি ও অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে এটি ছিল মেসির ১৪৭তম ম্যাচ। এতে করে জাতীয় দলের হয়ে হাভিয়ের মাশচেরানোর খেলা সর্বোচ্চ ১৪৭ ম্যাচের রেকর্ড ছুঁয়ে দিলেন তিনি।
পরের ম্যাচে মাঠে নামলেই রেকর্ডটিকে নিজের করে নেবেন ছয়বারের ব্যালন ডর জয়ী।
প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে আগ্রাসী ভাবেই শুরু করে আর্জেন্টিনা। আট মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার মোক্ষম সুযোগ পায় তারা।
ডিফেন্ডারদের ভুলে প্যারাগুয়ের বক্সে বল পেয়ে যান দেড় বছর পর জাতীয় দলের জার্সিতে নামা আগুয়েরো। কিন্তু একেবারে কাছ থেকেও শট পোস্টের বাইরে মারেন তিনি।
এর দুই মিনিট পরই অবশ্য গোলের দেখা পায় আলবিসেলেস্তেরা। দি মারিয়ার থ্রু বল পেনাল্টি বক্সের ভেতর পেয়ে যান পাপু গোমেস।
সেখান থেকে দুর্দান্ত এক চিপে প্যারাগুয়ের গোলকিপার আন্তোনি সিলভাকে পরাস্ত করেন সেভিয়ার এই স্ট্রাইকার।
এগিয়ে যাওয়ার পর প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে আর্জেন্টিনা। সুযোগও পায় একের পর এক। ১৮ মিনিটে মেসির নেয়া ফ্রি-কিক অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
তারপরও চাপ কমায়নি স্কালোনির দল। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে আরেকবার স্কোর করেন গোমেস। দি মারিয়ার নেয়া শট আন্তোনিও সিলভ প্রতিহত করলে ফিরতি বল পেয়ে গোমেসের উদ্দেশে বাড়ান লিয়ান্দ্রো পারেদেস।
গোমেস কাছ থেকে লক্ষ্যভেদও করেন। তবে, অফসাইডের কারণে রেফারি বাতিল করে দেন গোল।
ফলে এক গোলের লিডের বিরতিতে ফিরতে হয় আর্জেন্টিনাকে।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ে মেসির দল। আগুয়েরো-দি মারিয়ারা এই অর্ধে তেমন কিছুই করতে পারেননি। মেসিও নিষ্প্রভ ছিলেন ৪৫ মিনিট।
প্যারাগুয়ে তেমন কোনো বিপদে ফেলতে পারেনি আর্জেন্টিনাকে। এই অর্ধে তারা বলের পজেশন বেশি রাখলেও গোলে শট নিয়েছে মাত্র একবার।
শেষ পর্যন্ত ওই এক গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।
এই জয়ে গ্রুপ-এর শীর্ষে পৌঁছাল আর্জেন্টিনা। পরের রাউন্ডে যাওয়াও নিশ্চিত তাদের। আপাতত এক সপ্তাহের বিশ্রাম তাদের। মেসিরা ফিরছেন আর্জেন্টিনায় দলীয় ক্যাম্পে।
ব্রাজিলে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে নিজ নিজ দেশে ক্যাম্প করছে দলগুলো। ম্যাচের দিন সকালে তারা পৌঁছাচ্ছে ব্রাজিলের ভেন্যুতে।
নিজেদের শেষ ম্যাচে ২৯ জুন বলিভিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে মেসির দল। আর বৃহস্পতিবার চিলির বিপক্ষে খেলবে প্যারাগুয়ে।
খুলনা গেজেট/ টি আই