বাগেরহাটের চিতলমারীতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। পবিত্র ঈদ উল ফিতর যতই ঘনিয়ে আসছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যস্ততা ততই বাড়ছে। এখন দোকানিদের এক মুহুর্ত দম ফেলার ফুরসত নেই।
ক্রেতারাও সকাল থেকে রাত অব্দি কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাঁরা তীব্র গরম উপেক্ষা করে উপজেলা সদর বাজারে কেনাকাটা করতে আসছেন। তাই বিপণিবিতান গুলো বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। সাজিয়ে রাখা হয়েছে দেশী-বিদেশী পণ্যের সমাহার।
বাজারে এসেছে কাঁচা বাদাম, কাজু বাদাম, গারারা, সারারা, লোন ও পুষ্পা রাণী নামে নানা রকমের পোশাক। ঈদে আরও চাঙ্গা হয়ে উঠবে গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা। ঈদকে ঘিরে কেনাকাটা ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা সদর বাজার ঘুরে জানা গেছে, ঈদের সময় আরও চাঙ্গা হয়ে ওঠে গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা। তাই ঈদকে ঘিরে ব্যবসায়ীরা তাদের নিত্য নতুন পণ্য নিয়ে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে সরব হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে শাড়ি-লুঙ্গি, সিট কাপড়, গার্মেন্টস, জুতা-স্যান্ডেল, দর্জি পাড়া, মুদি-মনোহারি ও মাংসের ব্যাসায়ীরা এ সময় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাঁদেরকে ঘিরে জম জমাট হয়ে ওঠে ঈদের বাজার। পর পর দুই বছর করোনার ভয়াল থাবার পর এ বছর পরিস্থিতি ভালো থাকায় বেশ আগে ভাগেই সকলের মাঝে বিরাজ করছে ঈদ আমেজ। দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে কেনা কাটার ভিড়। বাজারে বর্তমানে নারী ও শিশুদের কেনাকাটাই বেশী।
উপজেলা সদর বাজারে গার্মেন্টস ব্যাবসায়ী মো. এমাদুল বিশ্বাস, সেতু কর্মকার, সিট কাপড় ব্যবসায়ী অশোক সমাদ্দার, কাপড় ব্যবসায়ী সরোজিৎ সাহা, জুতা ব্যবসায়ী লিটন শেখ, প্রসাধনী ব্যবসায়ী নন্দ লাল দত্ত ও দর্জি সুশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘ঈদের সময় ব্যবসা চাঙ্গা হয়ে ওঠে। তাই আমরা আগে ভাগেই ক্রেতাদের চাহিদা বিবেচনা করে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নতুন নতুন কালেকশন সংগ্রহ করি। এ বছর ঈদকে ঘিরে বাজারে এসেছে কাঁচা বাদাম, কাজু বাদাম, গারারা, সারারা, লোন ও পুষ্পা, পুষ্পা রাণী নামে নানা রকমের পোশাক। তবে বেশী বিক্রি হচ্ছে সুঁতি, হাফ সিল্ক কটন, জিন্স প্যান্ট, শার্ট, গেঞ্জি ও টাঙ্গাইল শাড়ি।’
ক্রেতা মো. বিলাস বিশ্বাস বলেন, ‘এখনও বড়দের পোশাক কেনা হয়নি। পরে কিনবো। তবে এবার অন্য সময়ের চেয়ে দাম বেশী। তারপর বাজার বেশ জমেছে। কারণ পর পর দুই বছর করোনা ছিল। তাছাড়া সবজি, মাছ ও অন্যান্য ফসল ভাল উৎপাদনের জন্য বর্তমানে এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে ভাল।’
এ ব্যাপারে চিতলমারী থানার পরিদর্শক (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান জানান, ঈদকে ঘিরে কেনাকাটা এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলা সদর বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা গুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে। কেউ কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটালে তাঁকে ছাড় দেওয়া হবে না।
খুলনা গেজেট/ এস আই