প্রথমার্ধের ১৭ মিনিটে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েছিল একবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। এরপর শত চেষ্টা করেও সেটি শোধ করতে পারছিল না। ফলে ওই এক গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড। বিরতি থেকে ফিরেই গোলের দেখা পেয়েছে ইংলিশরা। ফ্রান্সের ডি বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। সেখান থেকে গোল করে দলকে ম্যাচে ফেরান হ্যারিকেইন।
অথচ ম্যাচের ১৭ মিনিটেই গোল করে দলকে লিড এনে দেন অরেলিয়েন চৌমেনি। বাঁ দিক থেকে বল পেয়ে এমবাপ্পে কাটব্যাক করেন ডেম্বেলেকে। ডেম্বেলে দেন ডানে থাকা গ্রিজম্যানকে। গ্রিজম্যান পাঠান বাঁ বার বরাবর পাস দেন অরেলিয়েন চৌমেনিকে। বল পেয়েই চৌমেনি ২৫ গজ দূর থেকে অসাধারণ শটে নিচ দিয়ে বল জড়িয়ে দেন জালে। কিছুই করার ছিল না ইংলিশদের। ওই এক গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
হাইভোল্টেজ ম্যাচটিদে দু’দলই তাদের আগের ম্যাচের অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছে।
১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ের পর আর কোনও বিশ্বকাপের দেখা পায়নি ইংল্যান্ড। আরও একবার বড় মঞ্চে ট্রফি জয়ের উল্লাস করতে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা। যেখানে বাধা উড়তে থাকা ফ্রান্স। অন্যদিকে বিশ্বকাপ ট্রফি নিজেদের কাছেই রাখার মিশনে এমবাপ্পে জাদুতে ফেবারিটের তকমা এখনো ফ্রান্সের দিকে।
এখন পর্যন্ত মোট ৩১ বারের দেখায় ইংল্যান্ড জিতেছে ১৭ বার আর ফ্রান্স ৯ বার। ম্যাচ ড্রয়ে গড়িয়েছে পাঁচবার। দুই দলের প্রথম ছয় দেখায় ছয় জয়ই ইংল্যান্ডের। তবে কালক্রমে নতুন শতকে ঘুরে দাঁড়ায় ফ্রান্স।
২০০০ সাল থেকে মোট সাতবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। এরপর ছয় জয় ফ্রান্সের আর প্রীতি ম্যাচে এক জয় ইংলিশদের। এক্ষেত্রে মরুর বুকে বিশ্বমঞ্চের লড়াইটা আরও জমজমাট হচ্ছে, এটা প্রত্যাশাই করা যায়।
ফ্রান্স স্কোয়াড
হুগো লোরিস, কুন্ডে, ইব্রাহিমা কোনাটে, ডায়ট উপামেকানো, হার্নান্দেজ, আদ্রিয়েন রাবোয়িত, অরেলিয়েন চৌমেনি, ওসমানে ডেম্বেলে, অলিভার গিরুদ, আন্দোনিও গ্রিজম্যান, কিলিয়ান এমবাপ্পে
ইংল্যান্ড স্কোয়াড
জর্ডান পিকফোর্ড, হ্যারি ম্যাগুইরে, জন স্টোনস, লুক শ, কাইল ওয়াকার, হেন্ডারসন, ডেকলান রাইস, জুড বেলিংহ্যাম, হ্যারি কেইন, ফিল ফোডেন, বুকায়ো শাকা।