রামপালে ফিলিং স্টেশনে গিয়ে প্রেমিকা কিশোরী (১৩) কে বন্ধক রেখে পালালো বখাটে প্রেমিক। মোটরসাইকেলে পেট্রোল পুরে টাকা দিতে না পেরে তার বদলে স্কুল ছাত্রীকে জিম্মা রেখে পালিয়েছে প্রেমিক। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে রামপাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার গাববুনিয়া গ্রামের ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া কিশোরী গত বুধবার (২৬ জুন) স্কুল ব্যাগ সাথে নিয়ে ঝনঝনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যায়। ওই দিন দুপুর ১২ টার সময় বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তার উপর পেন্সিল কেনার জন্য দোকানে যায়। এ সময় বাছাড়েরহুলা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে নাজমুল ইসলাম সজিব (১৮) বিদ্যালয়ে গিয়ে ওই কিশোরীকে ভয়ভীতি দিয়ে ও ফুসলিয়ে তার সাথে বেড়াতে যেতে বলে। এতে সায় দিয়ে ওই কিশোরী সজীবের সাথে তার ভাড়া করা মোটরসাইকেলে উঠে বেড়াতে যায়। ভাগা বাজার এলাকায় গিয়ে মোটরসাইকেলের তেল ফুরিয়ে যায়। এরপরে নাজমুল স্থানীয় একটি ফিলিং স্টেশনে গিয়ে মোটরসাইকেলে পেট্রোল নেয়। এসময় টাকা দিতে না পারায় টাকার বদলে ওই ছাত্রীকে জিম্মা রেখে টাকা নিতে বাড়িতে চলে আসে। কিন্তু টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় ওই যুবক। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও ওই কিশোরী বাড়িতে না ফেরায় তার পিতা মাতা চিন্তিত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা স্কুলে খোঁজ নেন। সেখান থেকে জানানো হয় তার মেয়ে স্কুল ব্যাগ রেখে বাইরে গিয়ে আর ফেরেনি। পরে খুঁজতে গিয়ে ওই ফিলিং স্টেশনে তাকে পাওয়া যায়। সেখানে তাকে নিতে গেলে তারা তেলের মূল্য পরিশোধ করলে কিশোরীকে ফেরৎ পাবে বলে জানানো হয়। এ সময় তাদের সাথে বচসা হয়। পরে টাকা দিয়ে কিশোরীকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।
এ ঘটনা নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। মিমাংসার সময় প্রতিপক্ষ চড়াও হয়ে কিশোরীর বাবাকে কিল, চড়, ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করে। এ ঘটনায় শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে গাববুনিয়া গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, নাজমুল ইসলাম সজীব, মল্লিক মনিরুল ইসলাম, ফয়সাল মল্লিকদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
রামপাল থানার ওসি সোমেন দাশ অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম