পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের ট্যাংক জেলায় রোববার সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত দুই সৈন্য নিহত হয়েছেন। পরে সেনাবাহিনীর পাল্টা অভিযানে তিন সন্ত্রাসীও মারা গেছেন। এর আগে শনিবারও সন্ত্রাসী হামলায় দেশটির সেনাবাহিনীর তিন সদস্যের প্রাণহানি ঘটে। এ নিয়ে দুই দিনে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে লড়াইয়ের সময় পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর পাঁচ সদস্য নিহত হলেন।
দেশটির সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার ভোরের দিকে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের ট্যাংক জেলায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে সামরিক বাহিনী। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে অন্তত দুই সৈন্যের প্রাণহানি ঘটে। অভিযানের সময় সৈন্যদের পাল্টা গুলিতে তিন সন্ত্রাসীও নিহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বলছে, নিহত সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি নিরীহ নাগরিকদের বিরুদ্ধে অসংখ্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।
রোববারের হামলায় নিহত সৈন্যদের পরিচয় প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। সন্ত্রাসী হামলায় নিহত দুই সৈন্য হলেন নায়েক মুহাম্মদ আতিক (৩৯) ও নায়েক রজব আলী (৩৬)। তারা সাহসিকতার সাথে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় মারা গেছেন বলে পাক আইএসপিআরের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এর আগে, শনিবার দেশটির বেলুচিস্তান প্রদেশের জারগুন এলাকায় সামরিক নিরাপত্তা তল্লাশি চৌকিতে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ৩ সৈন্যের প্রাণহানি ঘটে। ওই সময় সামরিক বাহিনীর পাল্টা অভিযানে এক সন্ত্রাসী নিহত হন। এ নিয়ে দুই দিনে দেশটির সন্ত্রাসী হামলায় পাঁচ সৈন্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া সৈন্যদের অভিযানে চার সন্ত্রাসী মারা গেছেন।
গত বছরের নভেম্বরে দেশটির নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সাথে সরকারের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়। এরপর থেকে দেশজুড়ে বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে সন্ত্রাসী হামলা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত মাসে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান আইএসপিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, গত এক বছরে ৪৩৬টি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ২৯৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এসব হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৫২১ জন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড