খাদ্য সামগ্রী গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে চার্জ বৃদ্ধি করেছে ফুডপান্ডা। অপরদিকে, ফুডপান্ডা রাইডারস্’দের ডেলিভারি বিল কমিয়ে দিয়েছে অনলাইনভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানটি। ফলে দুর্মূল্যের বাজারে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষিত বেকার শ্রেণির বিপুল সংখ্যক ফুডপান্ডা রাইডাররা। অবিলম্বে চলমান অনিয়ম, রাইডারদের সাথে চরম দৃঢ় ব্যবহারের প্রতিকারের দাবিতে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন করেছে ফুডপান্ডার খুলনা জোনের রাইডাররা। ফলে বিভাগীয় শহর খুলনাতে ফুডপান্ডার সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন বিপুল জনগোষ্ঠি।
বুধবার বেলা ১২টায় নগরীর কেডিএ এভিনিউস্থ ফুডপান্ডা অফিস মুন্না টাওয়ারের সামনে ও সাতরাস্তার মোড়ে মানববন্ধন চলাকালে উপরোক্ত তথ্য রেখেছেন বক্তারা। ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনরত রাইডারদের জমানত ও আয়ের সঞ্চিত অর্থ ফেরতসহ ব্লক আইডি খুলে দেবার দাবি জানিয়েছেন তারা। অন্যত্থায় অনির্দিষ্টকালের জন্যে খুলনাতে ফুডপান্ডার সার্ভিস বন্ধের হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আন্দোলনরতরা। খুলনা জোনে তিনশতাধিক শিক্ষিত বেকার ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ফুটপান্ডার রাইডার হিসেবে নিজের ও পরিবারের ভরণপোষনে এ ঝুঁকিপূর্ণ খন্ডকালীন পেশায় নিয়োজিত।
ফুডপান্ডা রাইডার মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, কথায়-কথায় রাইডারদের ছাঁটাই করা বন্ধ করতে হবে। গ্রাহকদের কাছ থেকে চার্জ বৃদ্ধি করা হয়েছে, অপরদিকে আমাদের সার্ভিস চার্জ কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে রাইডাররা অসহায় হয়ে পড়েছি। ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করছি, এ অবস্থায় আমাদের প্রায় দুইশ’জনের আইডি ব্লক করে দিয়েছে ফুডপান্ডা। ওই আইডিতে জমানত ও আয়ের সঞ্চিত অর্থ হিসেবে প্রত্যেকের ৬ থেকে আট হাজার টাকা রয়েছে। আবার শুনতেছি, থানায় আমাদের নামে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। অবিলম্বে পূর্বের ডেলিভারি চার্জ পুনর্বহাল, বন্ধ আইডি খুলে রাইডারস্ হয়রানি বন্ধ না করা হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো। গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে খুলনাবাসীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করে সৃষ্ট সংকট-সমস্যা সমাধানে খুলনার নগরপিতা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান তালুকদার ও কেএমপি কমিশনার মাসুদুর রহমান ভুঞার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আন্দোলনরতরা।
মানববন্ধনে দুই শতাধিক ফুডপান্ডা রাইডারস্ অংশগ্রহণ করে বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে নিজেদের অসহায়ত্ব তুলে ধরেন। মানববন্ধনে তাদের হাতে দাবি-দাওয়া সম্বলিত প্লাকার্ড দেখা যায়।
অন্যদিকে, আন্দোলনরত রাইডারদের অভিযোগ অস্বীকার করে ফুডপান্ডার সিটি ম্যানেজার তাইফির ঈশান নেওয়াজ বলেন, গ্রাহকচার্জ আগে সেটা ৫ থেকে ৭টাকা ছিল, সেটা ১২ থেকে ১৫টাকা করা হয়েছে-এটা সত্যি। তবে ডেলিভারিতে রাইডারদের বিল কমানো হয়নি বলে দাবি করে তিনি বলেন, কোম্পানী এখনো প্রতিটি অর্ডারে অন্তত বিশটাকা ভর্তুকি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে পূর্বে বরখাস্ত ২০জন রাইডার এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। ফুডপান্ডার স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাঁধা দেয়া হচ্ছে মর্মে খুলনা ও সোনাডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই