কয়েকদিন পরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। সরকার করোনাকালে সব ধরণের আয়োজন সীমিত আকারে করার ঘোষণা দিলেও শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ উৎসবকে ঘিরে ইতোমধ্যে তাদের মধ্যে শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজ। আর উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহন করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ।
এ লক্ষে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতেও শারদীয় দূর্গাৎসবকে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে থানা পুলিশ। এবিষয়ে হরিণাকুন্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার (এসপি) মুন্তাসিরুল ইসলাম স্যারের নির্দেশে হরিণাকুন্ড থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা সাভাবিক রাখতে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২২ অক্টোবর থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাৎসবক শুরু হবে। এবার উপজেলায় ২৯টি পূজামণ্ডপে এ উৎসব করবেন তারা। হরিণাকুন্ডু থানা পুলিশের উদ্যোগে উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ওই ২৯টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে একাধিক আইন-শৃংখলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। এসব সভায় অধিক গুরুত্বের সাথে শারদীয় এ উৎসব পালনের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। দুর্গাৎসবের শুরু থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত পুলিশের পাশাপাশি গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরাও দায়িত্ব পালন করবেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের শারদীয় এ উৎসবকে সফল করতে অনুষ্ঠিত এসব সভায় বক্তব্য দেন হরিণাকুন্ডু উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সাধুখাঁ, পৌরসভার মেয়র শাহিনুর রহমান রিন্টু, ইউনিয়ন পূজা উদযাপন কমটির সভাপতি ও সম্পাদকবৃন্দ।
এছাড়াও প্রতিটি সভায় ইউনিয়ন পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ , পৌর-কাউন্সিলর, ইউপি সদস্য, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, ক্যাম্প ইনচার্জ, থানাপুলিশ ও গ্রামপুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/কেএম