খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার ফুলতলা গ্রামের পুলিশ কর্মকর্তার শিশু পুত্র অনুভব মণ্ডল জশ হত্যার ঘটনায় ছয়দিন পার হলেও রহস্য উদঘাটন হয়নি। তবে এ ঘটনায় শিশুটির মা তনুশ্রী মণ্ডলের সঙ্গে অনুপ মণ্ডলের পরকীয়া সম্পর্ক থাকতে পারে বলে স্থানীয়দের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পুলিশ জশের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনার ছয়দিন পার হলেও এখনো পর্যন্ত রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। শিশু জশের বাবা অমিত কুমার মণ্ডল পুলিশের সহকারি উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে নিহত শিশুর বাবা অমিত মণ্ডল বাদী হয়ে তার ভাই অনুপ মণ্ডলকে আসামি করে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত অনুপ মণ্ডল উপজেলার ফুলতলা গ্রামের নিমাই মণ্ডলের ছেলে।
ঘটনার তথ্য উদঘাটন করার জন্য পুলিশ অনুপ মণ্ডলকে পাঁচ দিনের জন্য রিমান্ডে নেন। এদিকে সন্দেহভাজন আসামী শিশুটির মা তনুশ্রী মহালদারকে (২৪) কারাগারে প্রেরণ করা হয়। বুধবার (২ ডিসেম্বর) বিকালে তাকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ হাজির করা হলে আদালতের বিচারক নয়ন বিশ্বাস তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ও বটিয়াঘাটা থানা পুলিশের পরির্দশক উজ্জ্বল কুমার দত্ত খুলনা গেজেটকে বলেন, মামলাটির তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। অভিযুক্ত অনুপকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার বিজ্ঞ আদালতে তাকে সোপর্দ করা হবে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখন পর্যন্ত মামলার রহস্য সম্পর্কে বলা যাচ্ছে না।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী সূত্রে, অমিত শিশু সন্তান জশ ও স্ত্রী তনুশ্রী মণ্ডলকে নিয়ে ঢাকায় বাস করেন। রাসপূজা উপলক্ষে গত রোববার তনুশ্রী শিশু জশকে নিয়ে গ্রামে বেড়াতে এসেছিলেন। পরের দিন রাতে শিশু জশের নিজের বাড়ির ঘরের মধ্যে তাকে হত্যা করা হয়। নিহতের গলায় কালো দাগ রয়েছে। তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হয়।
মামলার এজাহারে অমিত মণ্ডল অভিযোগ করেন, ২০১৫ সালে তার স্ত্রী তনুশ্রী মণ্ডলের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিলেন তার ভাই।
খুলনা গেজেট / এআর