৬৬ কোটি ৪৮ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮১ টাকার সম্পদের তথ্য ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এডিশনাল আইজিপি) ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানার বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম। দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের হিসাবে সন্দেহজনক উৎসের অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে ২১ কোটি ৫ লাখ ২৫ হাজার ১৮২৯ টাকা জমা করে পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় উত্তোলন করে তার অবস্থান প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা আড়াল করার চেষ্টা করেছেন।
দালিকৃত সম্পদ বিবরণীতে তিনি ৮ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ২২১ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপনসহ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া দুদকের অনুসন্ধনে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৩ হাজার ৭৮ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। যে কারণে তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর (২৬(২) ২৭(১) এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
অন্যদিকে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করা এবং ২৭ কোটি ৪৮ লাখ ৮২ হাজার ৪৯১ টাকার জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে দ্বিতীয় চার্জশিটে, যেখানে মো. শামছুদ্দোহা খন্দকারকে সহযোগী আসামি করে তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানাকে প্রথম আসামি করা হয়েছে।
শামসুদ্দোহা ২০১১ সালে প্রেষণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান পদে বসেন। ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। ওই মামলায় স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানাও আসামি। ২০২১-২২ সালের পরিষদে শামসুদ্দোহা ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান। তার বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল।
খুলনা গেজেট/এনএম