যশোরের মধুগ্রামে পুত্রবধূর অনৈতিক কর্মকান্ড ধরে ফেলা ও প্রতিবাদ করায় বাকবিতন্ডায় পড়ে বৃদ্ধ শ্বশুর মারা গেছেন। মৃতের নাম আব্দুস সাত্তার ড্রাইভার (৬০)।শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সদর উপজেলার মধুগ্রামের আব্দুস সাত্তারের মালয়েশিয়া প্রবাসী ছেলে ডলারের স্ত্রী কল্পনা বেগম একই গ্রামের আবু সিদ্দীকের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। প্রায়ই মধ্যরাতে মামুন গোপনে চলে আসেন ডলারের স্ত্রী কল্পনার ঘরে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আব্দুস সাত্তার বউমা কল্পনাকে সংযত হতে বলেন। এরই এক পর্যায়ে ২ অক্টোবর মধ্য রাতে মামুন আবারো আসে কল্পনার ঘরে। এসময় আপিত্তকর অবস্থায় তাদের ধরে ফেলেন আব্দুস সাত্তার। এ নিয়ে ওই রাতে তুমুল হৈচৈ শুরু হয়। বিষয়টি গোটা গ্রামেই প্রচার হয়। রাতে হম্বি তম্বি করে বাড়িতে ফিরে যায় মামুন।
এদিকে শনিবার সকাল হলেই আব্দুস সাত্তার পাশের সালতা গ্রামের বেয়াই লুৎফর রহমানের বাড়িতে যান মেয়ের ব্যাপারে নালিশ জানাতে। কিন্তু উল্টো আব্দুস সাত্তারকে নানা দোষে দুষ্ট বলে গালিগালাজ করেন বেয়াই ও তার পরিবারের লোকজন। মেয়ের দোষ না শুনে উল্টো তাকে শাসানো হয়। সেখানে লাঞ্ছিত হয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। আর বাড়ি ফিরেই দেখেন লম্পট মামুন দলবল নিয়ে তার বাড়ির উঠানে বাকবিতন্ডা করছে। তারা আব্দুস সাত্তার ও তার মেয়ে রাজিয়া খাতুনসহ পরিবারের লোকজনকে মারপিট করতে উদ্যত হয়। এসময় তুমুল বাকবিতন্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয় আর হঠাৎ করে পড়ে যান সাত্তার। এখানেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ এসে ভিড় জমায় ওই বাড়িতে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কল্পনা বেগম ও মামুন জানায়, মূলত আব্দুস সাত্তার ও তার পরিবারের লোকজন যে অভিযোগ তুলেছে তা সত্য নয়। স্বামী বিদেশ থাকায় কল্পনার সাথে যেই কথা বলুক তার সাথে প্রেম সম্পর্ক জুড়ে দেয় সাত্তারের পরিবার। মূলত ২ অক্টোবর রাতে আপত্তিকর কিছুই ঘটেনি। সবই ছিল মৃত আব্দুস সাত্তারের রটনা।
খুলনা গেজেট/এনএম