পুকুরে গোসল করতে নেমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তুনু কর্মকার নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেলে কুয়েটের ক্যাম্পাসের পুকুরে গোসল করতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর ) আবুল বাসার মোহাম্মাদ আতিকুর রহমান।
মৃৃত শিক্ষার্থী শান্তুনু পুরান ঢাকার রাজার দেওড়ি এলাকার বাসিন্দা সুকুমার চন্দ্র কর্মকারের ছেলে। কুয়েটের ২৩ ব্যাচের ম্যাটারিয়াল সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী শান্তনু কর্মকার (রোলঃ ২৩১৭০৪৪)।
ডুবে যাওয়া শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা ফায়ার সার্ভিসের খুলনা সদর স্টেশনের ফায়ারম্যান বলেন, আমরা তিনটার দিকে খবর পাই কুয়েটে একজন ব্যক্তি ডুবে গেছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা চলে আসি। এসে দেখি স্টুডেন্টসহ অনেক লোকের সমাগম। আমরা পানিতে নেমে সর্বোচ্চ ৩ মিনিটের মধ্যে বডি সনাক্ত ও উদ্ধার করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, পুকুরে ডুবে যাওয়া শিক্ষার্থীকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে উদ্ধার করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন বলেন, দুপুর ৩ টার দিকে কুয়েট শিক্ষার্থী শান্তনু গোসল করতে কুয়েটের পুকুরে নামে। ফেরত আসাতে দেরি দেখে সহপাঠিরা পুকুরের চারপাশে খোঁজ নিতে থাকে। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের খবর দেওয়া হলে তারা পৌঁণে ৪ টার দিকে তাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে তার মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে