শ্রমিকদের দেওয়া সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে উৎপাদন বন্ধ খুলনার ছয় পাটকল চালুর প্রক্রিয়া চলছে। পিপিপিতে নয়, লীজ গ্রহীতার মাধ্যমে চালু হবে পাটকলগুলো। প্রধানমন্ত্রী লীজ পদ্ধতির বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছেন।
পাট মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের আলোকে সরকারি মালিকানায় পরিচালিত ছয়টি পাটকলের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় যায় ১ জুলাই। মিল পূনরায় চালুর দাবিতে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন শিল্পাঞ্চলে অবরোধসহ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। উৎপাদন বন্ধের পরপর সরকার শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের ঘোষণা দেয়। শ্রমিকদের স্থায়ী বেকারত্ব অবসানে পাট মন্ত্রণালয় প্রথমে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ-পিপিপি পদ্ধতিতে মিল চালুর উদ্যোগ নেয়। পরবর্তীতে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে বিজেএমসির লীজ গ্রহীতার মাধ্যমে মিল চালুর জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায়। এমন ঈঙ্গিত পাওয়ার পর দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকে পড়ে। চীনের একটি প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে প্লাটিনাম ও ক্রিসেন্ট জুটমিল পরিদর্শন করেছেন। পাট মন্ত্রণালয় থেকে লীজ পদ্ধতিতে মিল চালুর প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিজেএমসির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. গোলাম রব্বানী জানান, নীতিমালা চূড়ান্ত করতে পাট মন্ত্রণালেয়র অতিরিক্ত সচিবকে আহবায়ক করে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিজেএমসির জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) নাসিমুল ইসলাম জানান, লীজ গ্রহীতার মাধ্যমে মিল চালুর লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে নীতিমালার খসড়া তৈরি হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া শেষে লীজ গ্রহীতাদের আহ্বান জানিয়ে টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।
বন্ধকৃত খুলনার পাটকলগুলো হচ্ছে- ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, কার্পেটিং, ইস্টার্ন, জেজেআই ও স্টার। মালিকানা নিয়ে বিরোধ থাকায় আলিম জুট মিলের ব্যাপারে এ মুহুর্তে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না।