দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা মধ্যপাড়া এলাকার স্কুল ছাত্র সায়েদ খান নিরব হত্যা মামলায় সাদিদ তালুকদার (১২) কে আসামি করা হয়েছে। তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে প্রেরণ করা হলে আদালত কারাগারে পাঠিয়ে দেন। এর আগে নিহতের পিতা সোমবার রাতে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান বলেন, নিরব শশীভূষণ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। উভয়ই একই এলাকার বাসিন্দা। সাদিদ স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপের দৈনিক শ্রমিক ছিল। ঘটনার দিন সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ার কারণে মহেশ্বরপাশা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে খেলা করছিল নিরব ও সাদিদসহ আরও কয়েকজন কিশোর। এর মধ্যে দু’জনের কথা কাটাকাটি হয়। নিরব সাদিদকে একটি থাপ্পর মারে। রাগ সহ্য করতে না পেরে সাদিদ তাকে কয়েকটি ঘুষি মারে। এরপরে রাস্তার ওপরে পড়ে থাকা বেলচা দিয়ে হাতে, মাথায় ও কপালে কয়েকটি আঘাত করে। আঘাতে নিরব রাস্তার ওপর লুটিয়ে পড়লে সে পালিয়ে যায়। পরে তাকে বাড়ি থেকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। রাতে নিহতের পিতা বাদী হয়ে সাদিদকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার নং ১২। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
নিহতের বাবা নিরু খান মহেশ্বরপাশা এলাকায় পোল্ট্রি খাবারের ব্যবসা করেন। তিনি খুলনা গেজেটকে বলেন, স্কুলের বন্ধুদের সাথে ঘটনার সময় খেলা করছিল। প্রতিবেশীর ছেলে সাদিদ তালুকদার নিরবের সাথে ইচ্ছা করে কথা কাটাকাটি করেছে। সহ্য করতে না পেরে আমার ছেলে একটা চড় মেরেছিল। এর প্রতিশোধ স্বরূপ তাকে এভাবে মারতে হবে। পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ যে কত ভারি তা যে সন্তান হারিয়েছে সে ছাড়া আর কেউ বুঝতে পারবেনা। এ কথা বলে অঝরো কাঁদতে থাকেন নিরু খান।
সোমবার মহেশ্বরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে খেলার সঙ্গীর বেলচার আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হয় নিরব। তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ময়নতদন্ত শেষে নিরবের মরদেহ আজ দুপুর ২ টার দিকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুপুর ৩ টার দিকে মহেশ্বরপাশা পুলিশ ফাঁড়ি জামে মসজিদে তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাকে কালিবাড়ি শাড়াডাঙ্গা মাঠ কবরস্থানে দাফন করা হয়।
খুলনা গেজেট/ আ হ আ