যশোরের অভয়নগর উপজেলায় এসএএফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে কেয়া খাতুন (২৮) নামে এক নারী শ্রমিককে পিটিয়ে ও এসিডে ঝলসে হত্যা করা হয়েছে। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ওই প্রতিষ্ঠানেরই শ্রমিক শামীম হোসেন সোমবার দুপুরের বিরতির সময় এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। পুলিশ ঘাতক শামীমকে আটক করেছে।
ইন্ডাট্রিজের সহকর্মীরা জনিয়েছে, সোমবার দুপুরের অবসরে কেয়া মিলের ভেতরে বসে ছিলেন। এসময় শামীম অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায় ও রড় দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে তার শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে সে পালিয়ে যায়। তার চিৎকারে অন্যান্যরা এগিয়ে এসে কেয়াকে উদ্ধার করে খুলনা আদ্ব-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ বিষয়টি জানান পর শাশীম হোসেনকে আটক করেছে। সে অভয়নগর উপজেলার তালতলা মাইলপোস্ট এলাকার খন্দকার মোশারফ হোসেনের ছেলে। নিহত কেয়া খাতুন উপজেলার কাদিরপাড়া গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার এসআই গৌতম জানান, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, পরকীয়া প্রেমের জের ধরে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কেয়া খাতুনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও দাহ্য পদার্থ ঢেলে হত্যা করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামি শামীমকে আটক করে এ বিষয়ে মামলা হয়েছে।