এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির জেরায় নির্বাসিত তৃণমূল মন্ত্রী এবং মডেল কাম অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গোপন সম্পত্তির কথা যেমন উঠে আসছে, উদ্ধার হয়েছে ৪৯ কোটির বেশি টাকা, ঠিক তেমনই উন্মোচিত হচ্ছে দু’জনের সম্পর্কের রসায়ন।
যদিও জেরায় অর্পিতা বলেছেন যে, সব উদ্ধার হওয়া টাকাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এবং পার্থ’র লোকজন ফ্ল্যাটে এসে টাকা রেখে যেতেন, কিন্ত কেউ কি বিশ্বাস করবে ফ্ল্যাট মালিকের অনুমোদন ছাড়া টাকা রাখার কথা?
বিশেষ করে ইডির তদন্তে যখন উঠে আসছে দু’জনের মাখো মাখো সম্পর্কের কথা।
পার্থ’র সঙ্গে অর্পিতার পরিচয় ২০১১ সালে। বয়সে অনেক ছোট অর্পিতাকে দেখে পার্থর মনে ধরে সেই সময়েই। সম্পর্ক নিবিড় হয়। প্রতিষ্ঠা পেতে অর্পিতার দরকার ছিল একটি সিঁড়ির। পার্থর মধ্যে সেই সিঁড়ি তিনি পেয়ে যান। রমণীপ্রীতি পার্থর চরিত্রের একটি দিক। পারিবারিক জীবনে স্ত্রী বাবলির সঙ্গে এই নিয়ে ছিল মতান্তর। বাবলির মৃত্যুর পর আরও বলগাহীন হন পার্থ।
অর্পিতাকে নিয়ে সিঙ্গাপুরে ছুটি কাটাতে যান তিনি। আলাদা ফ্লাইটে নাকি গিয়েছিলেন সিঙ্গাপুরে। একসঙ্গে দুজনে মাছ ধরতেন বারুইপুর কিংবা জঙ্গিপুরের পুকুরে। লং ড্রাইভে প্রায়ই যেতেন পার্থ-অর্পিতা।
দুর্জনেরা বলে, বাবলির মৃত্যুর পরে অর্পিতাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন পার্থ, একমাত্র মেয়ের আপত্তিতে নাকি তা সম্ভব হয়নি। অর্পিতার ফ্ল্যাট জমি নাকি পার্থরই উপহার। মন্ত্রিত্ব হারানোর পর পার্থর বয়ান কোন দিকে ধাবিত হয় সেটাই দেখার।