খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, রাজি পাকিস্তান; ভারতের ম্যাচ দুবাইয়ে : বিসিবিআই সূত্র
  গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত, গুম কমিশনের সুপারিশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে

পারিবারিক কলহে দুই সন্তানের জননীর আত্মহত্যা, পরিবারের দাবী হত্যা!

মোংলা প্রতিনিধি

মোংলায় স্বামীর ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁস নিয়ে তাসলিমা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) তার শ্বশুরবাড়িতে তিনি আত্মহত্যা করেন। কিন্তু গৃহবধু তাসলিমা পরিবারের দাবী তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

জানা যায়, মৃত তাসলিমা বেগম মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আগলাদিয়া গ্রামের আনোয়ার ব্যাপারীর মেয়ে। এবং একই এলাকার সেকেন্দার শেখের পুত্র মহিদুল শেখের স্ত্রী। প্রায় ১১ বছর আগে বিবাহ হয় তাসলিমার। তাদের সংসারে আটবছরের একটি ছেলে ও তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

স্থানিয় বাসিন্দা মোঃ ইয়াছিন জানান, বেশকিছু দিন ধরেই তার স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার মোংলা থানায় বসাবসিও হয়।

তাসলিমার শাশুরী শাহিদা বেগম (৬০) বলেন, আজ বৃহস্পতিবার আমার ছেলের লুডু খেলা নিয়ে তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ছেলে মহিদুল বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরে আমি আমার ছোট ছেলের অসুস্থ্য স্ত্রীকে দেখতে বাড়ি থেকে চলে আসি, সেখান থেকে ফিরে এসে দেখি ঘরের আড়ার (চৌকাঠ) সাথে গলায় দড়ি দিয়ে তাসলিমা ঝুলে আছে। সাথে সাথে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি।

মৃত তাসলিমা বেগমের মেঝো ভাই মফিজুল ব্যাপারী (৩২) বলেন, আমার বোন আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এর আগেও এদের ঝগড়া নিয়ে মোংলা থানায় কয়েকবার বসাবসি করে তাদের মিলিয়ে দেওয়া হয়।

মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহাইমেন ইবনে মোস্তাফিজ বলেন, তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেছে পরিবার। তার গলায় দড়ির দাগ ছিলো

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন এ ব্যাপারে আমরা তদন্ত করছি ঐ নারীর লাশ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলেই হত্যার প্রকৃত কারন শনাক্ত করা যাবে।

খুলনা গেজেট / আ হ আ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!