পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার রাজা সুলতানের পদত্যাগ দাবি করেছেন সম্প্রতি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদ হারানো ইমরান খান।
অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা হারানোর পর প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে এসে ইসলামাবাদের বানিগালা বাসভবনে তিনি এ দাবি করেন বলে দ্য ন্যাশনালের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
তেহরিক-ই-ইনসাফ নেতা ইমরান বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন। তাকে পদত্যাগ করতে হবে।’
অবশ্য এর আগেও সিইসি সিকান্দারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনেন তিনি।
রাজধানী ইসলামাবাদে বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন ইরমান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিক্ষোভের তারিখ পরে জানানো হবে। তবে তার আগে ২৭ রমজানে এ উপলক্ষে মোনাজাতের আয়োজন করা হবে।’
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে নানা বিষয়ে অভিযুক্ত করে ইমরান বলেন, ‘জনগণ আমাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া রসিকতা বুঝতে শুরু করেছে।’
তিনি দাবি করেন, ‘নজিরবিহীনসংখ্যক অপরাধী এবং যারা নতুন করে জামিনে বেরিয়েছেন, তারা এই সরকারের মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন।’
ইমরান খান তার ক্ষমতাচ্যুতির পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে দাবি করে বলেন, এই দেশই তাকে পদ থেকে সরিয়েছে।
‘হুমকির চিঠি’ তদন্ত করার জন্য সুপ্রিম কোর্টকে একটি গণশুনানির আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন ক্রিকেট তারকা থেকে রাজনৈতিক নেতা বনে যাওয়া ইমরান।
বিভিন্ন নাটকীয়তার পর গত ৯ এপ্রিল মধ্যরাতের অনাস্থা ভোটে ৬৯ বছর বয়সী ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রিত্বের অবসান ঘটে। তিনি দেশটির ২২তম প্রধানমন্ত্রী।
পরে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে আবার ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নেতা শাহবাজ শরিফ।
দুর্নীতির দায়ে নওয়াজ শরিফ অভিশংসিত হওয়ার পর ২০১৮ সালে চার দলের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন ইমরান। তার সরকারের মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত।