পাকিস্তানের বিপক্ষে ইতিহাসগড়া জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৪তম টেস্টে এসে অপেক্ষার প্রহর ফুরালো বাংলাদেশের। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জয় মিললেও অধরাই ছিল টেস্টে। আগের ১৩ টেস্টের ১২টিতে হার ও একটি জয়। ঘরের মাঠে ম্যাচ হওয়ায় তাই অনেকেই পাকিস্তানকে ফেভারিট হিসেবেই দেখেছিল। কিন্তু শেষদিনে এসে মিরাজ-সাকিবের ঘূর্ণিতে কাঙ্ক্ষিত জয় পেল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে ২০২২ সালের পর ঘরের মাঠে জয় না পাওয়া পাকিস্তান জয়বঞ্চিত হলো।
বুধবার (২১ আগস্ট) শুরু হওয়া ম্যাচটির প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ৪৪৮ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ঘোষণা করে। তখন ধারণা করা হচ্ছিল ম্যাচটিতে হারতে যাচ্চে বাংলাদেশ। এর অবশ্য কারণও ছিল। কেননা বাংলাদেশ যে পাকিস্তানের মাটিতে আতিথেয়তা নিতে গিয়েছে। ঘরের মাঠে পাকিস্তানি বোলারদের মোকাবিলা করাটা তো সহজ না!কিন্তু রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পঞ্চম দিনে নাটকীয়ভাবে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয় টাইগার বোলাররা।
সাইম আইয়ুবের উইকেট হারিয়ে ৯৪ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিন শেষ করা পাকিস্তান শেষ দিনে এসে ১১৮ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এতে করে বাংলাদেশের জয়টা ছিল অনুমেয়। কিন্তু একপ্রান্তে উইকেট আগলে রেখে টাইগারদের হারকে বিলম্বিত করছিলেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ রিজওয়ান। যদিও শেস পর্যন্ত দলীয় ১৪২ রানে ৯ম উইকেট হিসেবে তাকে ফেরান মেহেদি মিরাজ। তার আগে অবশ্য রিজওয়ান ৮০ বলে ৬ চারের সাহায্যে ৫১ রান করেন। এটি ছিল তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ১০ম হাফসেঞ্চুরি।
রিজওয়ানের বিদায়ের ৪ রান পর মোহাম্মদ আলীকে এলবির ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। এটি ছিল ম্যাচে মিরাজের ৪র্থ উইকেট। পাকিস্তানের দলীয় রান তখন ১৪৬ রান। তাই বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় মাত্র ২৯ রানের।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে সাদমান ইসলাম মাত্র ৭ রানের জন্য দেখা পাননি তিন অঙ্কের ম্যাজিল ফিগারের। পরে মাত্র ৯ রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। কিন্তু তার নায়কোচিত ইনিংস আক্ষেপে পোড়ায় পাকিস্তানকে। কেননা মুশফিক, সাদমান, মিরাজদের ব্যাটে প্রথম ইনিংসে অলআউট হওয়ার আগে ৫৬৫ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। এতে করে বাংলাদেশের লিড পায় ১১৭ রানের।
খুলনা গেজেট/এমএম