গত ৮ মার্চ অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের এক মাসেরও বেশি সময় পরে, পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ভোটাভুটিতে দেশটির ইতিহাসে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন ইমরান খান।
জাতীয় পরিষদে ভোটাভুটির ফলাফলের পরে গত কয়েক মাসের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে পাকিস্তানে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতিতে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন, কেউ হতাশা প্রকাশ করেছেন, কেউ কেউ ক্ষুব্ধ হয়েছেন; আবার হাস্যকর ও মজার প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন কেউ কেউ। সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানিয়েছে।
পাকিস্তান মুসলিম লিগের (নওয়াজ) সহ-সভাপতি মরিয়ম নওয়াজ টুইট করেছেন, ‘আমার প্রিয় পাকিস্তানের দুঃস্বপ্নের সমাপ্তি। (এখন) নিরাময় ও পুনর্গঠনের সময়।’
বিদায়ী শিক্ষামন্ত্রী ও পিটিআই’র নেতা শাফকাত মেহমুদ অবশ্য ইমরানের প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোকে ‘পাকিস্তানের জন্য দুঃখজনক দিন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘একজন ন্যায়পরায়ণ ও নির্ভীক নেতা চেনাজানা দুর্নীতিবাজ মাফিয়াদের নিশানায় পড়েছিলেন। এবং তাঁকে বিদায় নিতে বাধ্য করা হয়েছে।’
তবে, শাফকাত মেহমুদ আশাপ্রকাশ করেন যে, ‘ইমরান খান আবার উঠে দাঁড়াবেন; কারণ, পাকিস্তানের জনগণ তাঁর ও পিটিআই’র সঙ্গে রয়েছে।’
পাকিস্তান মুসলিম লিগের (নওয়াজ) নেতা খাজা সাদ রফকি জাতিকে ‘পুরোনো পাকিস্তানে’ স্বাগত জানান।
পিটিআই’র নেতা এবং সিনেটর ফয়সাল জাভেদ খান বলেছেন, ইমরান খান ‘সৌম্যভাবে বিদায় নিয়েছেন। কারও কাছে মাথা নত করেননি।’
অধিকারকর্মী আম্মার আলি জান বলেছেন, ‘সংবিধান নিয়ে নাশকতার আনাড়ি একটি চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।’ তবে, তিনি যোগ করেন, ‘জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে।’
সাংবাদিক সিরিল আলমেদা টুইট করেন, ‘হাইব্রিড শাসনের মৃত্যু হয়েছে।’
আরেক সাংবাদিক হাসান জাইদি ইমরান খানকে কটাক্ষ করেছেন। তাঁর টুইট, ‘ইমরান খান আরেকটি নতুন পাক রেকর্ড গড়েছেন! অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী তিনিই।’
আইনজীবী রীমা ওমর ইমরান খানের বিদায়কে “একটি ‘হাইব্রিড’ প্রকল্পের অপমানজনক সমাপ্তি” উল্লেখ করে বলেন, ‘এটি গণতন্ত্রকে অনেক ধাপ পেছনে নিয়ে গেছে।’