পাকিস্তানে পড়াশোনা করলে কেউ ভারতে চাকরির যোগ্য হবেন না। ভারতের শিক্ষা নিয়ন্ত্রকরা এ বিষয়ে সতর্কতা দিয়েছে বলে খবর দিয়েছে তুরস্কের অনলাইন টিআরটি।
এতে বলা হয়েছে, কোনো ভারতীয় যদি পাকিস্তানে পড়াশোনা করেন তারা ভারতে ফিরলে কোনো চাকরির বৈধতা পাবেন না অথবা ভারতের কোনো শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন না।
শুক্রবার এ বিষয়ে এক এডভাইজরি প্রকাশ করা হয়েছে বলে ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে ভারতীয় নাগরিক এবং বিদেশে থাকা নাগরিকদের উদ্দেশে ওই সতর্কতা দেয়া হয়েছে। ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন অ্যান্ড অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন বলেছে, উচ্চ শিক্ষার জন্য পাকিস্তান সফর না করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
তারা আরও জানায়, পাকিস্তানে শিক্ষা গ্রহণের জন্য যারা ইচ্ছা পোষণ করছেন তারা ভারতে ফিরে কোনো চাকরি বা ভারতে আরও পড়াশোনার বৈধতা পাবেন না। ভারতীয় কোনো নাগরিক অথবা বিদেশে থাকা ভারতীয় কোনো নাগরিক যদি পাকিস্তানের কোনো কলেজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ডিগ্রি অর্জন করেন তাহলে তারা ভারতে কোনো চাকরি বা উচ্চ শিক্ষার যোগ্য হবেন না।
তারা যদি পাকিস্তান থেকে যেকোনো বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেন তার ভিত্তিতেই তাদের বিরুদ্ধ এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এতে আরও বলা হয়, অভিবাসী এবং তাদের সন্তানরা, যাদের পাকিস্তানের উচ্চ শিক্ষায় ডিগ্রি আছে এবং তাদেরকে ভারতে নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে, তারা ভারতে চাকরির সুযোগ পাবেন। তবে এক্ষেত্রে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা ক্লিয়ারেন্স থাকতে হবে। এর আগে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্যও একই রকম এডভাইজরি দিয়েছিল ভারত সরকার।
উচ্চ শিক্ষার জন্য ভারতীয় সেব শিক্ষার্থী পাকিস্তানে যান, তাদের বেশির ভাগই ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীরের। জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ১৯৪৭ সাল থেকে পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে সংঘাতময় অবস্থা বিরাজ করছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ওই অঞ্চলটি প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ হয়ে আছে। এক অংশের নিয়ন্ত্রণ করছে ভারত। অন্য অংশ পাকিস্তান। তবে উভয়েই পুরো জম্মু-কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। কাশ্মীরের সামান্য অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে আবার চীন। ভারত ও পাকিস্তান ১৯৪৭ সালে ভাগ হওয়ার পর তারা তিনটি যুদ্ধ করেছে। ১৯৪৮, ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালে। এর মধ্যে দুটি যুদ্ধ হয়েছে কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে।