কয়েক সপ্তাহ আগে তিন ফরম্যাটেই পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন বাবর আজম। পুরো দল নিয়ে তিনি গেছেন নিউ জিল্যান্ডে। সেখানে তার দলের সাতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। পাকিস্তানের এই কঠিন সময়ে অধিনায়কের বিরুদ্ধে বিতর্ক তুললেন এক নারী। বাবরের বিরুদ্ধে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন তিনি।
একটি সংবাদ সম্মেলন করে ওই নারী দাবি করেন, বাবর তাকে ১০ বছর ধরে ব্যবহার করেছেন এবং বিয়ের আশ্বাস দিয়ে গেছেন। একসময় অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েন তিনি এবং এরপর থেকে বাবর হাতে হুমকি দিতে থাকে।
ওই নারী অভিযোগ করেন, ‘সে আমাকে বিয়ে করবে কথা দিয়েছিল, আমাকে অন্তঃসত্ত্বা বানিয়েছে। তারপর আমাকে মেরেছে, হুমকি দিয়েছে এবং ব্যবহার করেছে।’ বাবরের সঙ্গে তার সম্পর্ক অনেক দিনের দাবি করেছেন, ‘ক্রিকেটে বাবরের যখন কিছুই ছিল না, তখন থেকে আমি তাকে চিনি। তার পরিবার ছিল গরীব। আমি আশা করি আমার সব ভাই-বোনেরা আমাকে ন্যয় বিচার পেতে সহায়তা করবেন। কারণ আমি চাই না আমার মতো অবস্থার মধ্যে দিয়ে আর কোনও মেয়ে যাক। বাবর আর আমি একই কলোনিতে বেড়ে উঠেছি, একসঙ্গে থাকতাম আমরা।’
স্কুল থেকে তাদের মধ্যে জানাশোনা এবং ২০১০ সালে বাবরের কাছ থেকে প্রেমের প্রস্তাব পাওয়ার কথা জানান ওই নারী, ‘সে ছিল আমার স্কুলের বন্ধু। ২০১০ সালে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল এবং আমি তা গ্রহণ করেছিলাম। এমনকি সে আমার বাসায় এসে প্রস্তাব দিয়েছিল। সময় যত গেছে, আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া আরও ভালো হয়েছে। আমরা বিয়ের পরিকল্পনা করেছিলাম এবং আমাদের পরিবারকেও জানিয়েছি, কিন্তু তারা প্রত্যাখ্যান করেছে।’
২০১১ সালে তারা দুজনে পালিয়ে একটা ভাড়া বাসায় ওঠেন বলে দাবি করেন তিনি, ‘তারপর আমি ও বাবর কোর্টে গিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই। ২০১১ সালে আমরা পালিয়ে যাই এবং আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে একটা ভাড়া বাসায় রাখে। ওই সময় আমি তাকে বারবার আমাকে বিয়ে করতে বলেছি কিন্তু সে বলতো ‘আমরা এখনও বিয়ের অবস্থায় নেই, সময় হলে আমরা বিয়ে করবো।’”
জানা গেছে, ওই নারী বাবরের সব ব্যয়ভার বহন করতো। এমনকি ক্রিকেট খেলতেও তাকে আর্থিকভাবে সহায়তা করেছেন তিনি। তবে ২০১৬ সালে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর একেবারে বদলে যায় বাবরের আচরণ। এসব দাবির প্রতিক্রিয়া এখনও পিসিবি জানায়নি। বাবরের তরফ থেকেও কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
খুলনা গেজেট/এএমআর