দিনের শুরুটা প্রায়-ই দখল করে নিচ্ছিল বৃষ্টি। যার কারণে মাত্র ৫ ওভারেই বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬৫ রানের। ব্রোঞ্জ জিততে বাংলাদেশের শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২০ রান। দারুণ ব্যাটিংয়ে সে বাধা অনেকাংশ টপকে যান ইয়াসির আলী রাব্বি। এরপর শেষ বলে বাংলাদেশের ৪ রান প্রয়োজন ছিল। নতুন ব্যাটসম্যান রাকিবুল হাসান মিড উইকেটে চার হাঁকিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেছেন।
শেষ দিকে সবার দৃষ্টি-ই ছিল রাকিবুল হাসানের দিকে। কারণ তার ব্যাটে-ই যে এশিয়াডে বাংলাদেশের আরেকটি ব্রোঞ্জ নির্ভর করছিল। এক বলে প্রয়োজন চার রান। উইকেটে নেমেই পাকিস্তানের স্পিনারকে মিড উইকেটে সজোরে হাঁকালেন এই স্পিন অলরাউন্ডার। এক বাউন্স খেয়ে বল সীমানার বাইরে। সঙ্গে সঙ্গেই লাফিয়ে উঠলো বাংলাদেশ শিবির। এর মাধ্যমে এশিয়াডে আরেকটি ব্রোঞ্জ নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের।
৫ ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ৬৫ রান। প্রথম ওভারেই পাক বোলার আরশাদ খান বাংলাদেশের দুই উইকেট তুলে নেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে বাংলাদেশকে ম্যাচে রাখেন আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং ইয়াসির আলী। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে আফিফ হোসেন আউট হলে বাংলাদেশ খানিকটা চাপে পড়ে যায়।
ফলে সমীকরণ দাঁড়ায়, শেষ ওভারে বাংলাদেশের ২০ রান এবং পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল একাধিক ডট বল। তবে তাতে সফল হতে দেননি ইয়াসির আলী, ওভারের শুরুতেই তিনি ছক্কা হাঁকান। তৃতীয় বলে আবারও ছক্কা হাঁকিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে খেলা আনেন তিনি।
তবে শেষদিকে কিছুটা নাটকীয়তা তৈরি হয়। পঞ্চম বলে ইয়াসির আউট হয়ে গেলে বাংলাদেশ আবার চাপে পড়ে। শেষ বলে রাকিব চার মেরে বাংলাদেশকে আরেকটি ব্রোঞ্জ জেতার উপলক্ষ্য এনে দেন এশিয়ান গেমসে।
খুলনা গেজেট/এনএম