দিন কয়েক আগে পাইরেসির শিকার হয় গেল ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’। বিষয়টি নিয়ে গত ২৭ জুলাই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মুহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ‘সুড়ঙ্গ’ টিম। ইতোমধ্যে এই ছবির পাইরেসিতে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার। বেসরকারি একটি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, পাইরেসি ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
নিপুণ বলেন, ‘পাইরেসি গলার কাঁটা না, পাইরেসি একটা মরণব্যাধি। আমি যখন আসি তখন প্রয়াত মান্না ভাইকে এ নিয়ে আন্দোলন করতে দেখেছি। তখন অতকিছু বুঝতাম না যে ওনারা কীসের বিরুদ্ধে এত আন্দোলন করছে। পাইরেসি ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।’
গোয়েন্দা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “সুড়ঙ্গ’ হোক কিংবা যে ছবিই হোক, প্রতিটাই আমাদের ইন্ডাস্ট্রির ছবি। একটা ছবি পাইরেসি মানেই আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে পঙ্গু করে দেওয়া। কারণ এ ছবিগুলো এখনো বিজনেস করছে। এমন একটি উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ডিবিকে অবশ্যই ধন্যবাদ জানাই।”
অভিনেত্রীর কথায়, ‘আসলে শুধু গ্রেপ্তার করলেই হবে না, দেখতে হবে পাইরেসিটা কোত্থেকে হচ্ছে, কারা করছে এবং কীভাবে হচ্ছে। মাঝখানে দীর্ঘদিন পাইরেসি বন্ধ ছিল, এখন আবার শুরু হয়েছে। আসলে মাঝখানে তেমন ব্যবসাসফল সিনেমা হয়নি। এখন যখন চলচ্চিত্রগুলো ভালো ব্যবসা করছে পাইরেটরাও সক্রিয় হচ্ছে। ওদের টার্গেটই থাকে ব্যবসাসফল সিনেমাগুলো।
এক প্রশ্নের জবাবে নিপুণ বলেন, ‘পাইরেসি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেই যে পাইরেসি রোধ করা হবে ব্যাপারটা এমন না। আসলে আমি কাজ করছি কি না সেটাই বড় কথা। আমি আমার কাজ কাউকে দেখাই না।’
ঈদের সিনেমাগুলোর ব্যবসা নিয়ে এর আগে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা এখন হলিউডের সিনেমার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছি। হলিউডের সিনেমার শো কমিয়ে আমাদের বাংলা সিনেমার শো বাড়ানো হয়েছে। যেখানে আমরা হলিউডের সিনেমার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারছি সেখানে হিন্দি সিনেমা বাংলা ছবিকে টেক্কা দিতে পারবে না। এটা আমার বিশ্বাস।’