খুলনার পাইকগাছায় স্কুল ছাত্রী মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় তার পিতাকে মারপিট ও চাকু দিয়ে কুপিয়ে জখমের মামলায় মঙ্গলবার রাতে সাহেব আলী গাজী(২৪) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার ভিলেজ পাইকগাছা গ্রামের নসরুল গাজীর ছেলে।
বুধবার (১৮ মে) সকালে গ্রেফতারকৃত আসামির স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনাাস্থলের পার্শ্ববর্তী একটি খাল থেকে আলামত হিসেবে ওই চাকুটি উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার দুপুরে আলামতসহ গ্রেফতারকৃত যুবককে পাইকগাছা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আসাদুজামান জানান, উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের লস্কর গ্রামের শের আলী সরদারের ছেলে ব্যবসায়ী এস এম টুকু (৩৭) গত শনিবার সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় ভিলেজ পাইকগাছা গ্রামের নসরুল গাজীর ছেলে সাহেব আলী গাজীসহ কয়েকজন তার বাড়ির সামনেই তার মেয়েকে একা পেয়ে উত্ত্যক্ত করে। এমনকি এর আগেও সে সদলবলে একাধিক বার উত্যক্তের ঘটনা ঘটিয়েছে।
সর্বশেষ ঘটনার দিন নিজ মেয়েকে বাড়ির সামনে উত্যক্তকালে পিতা টুকু তাদেরকে বাধা দিলে পকেট থেকে চাকু বের করে ওই যুবকরা তার মাথায় আঘাত করতে গেলে তিনি বাম হাত দিয়ে ঠেকালে তার হাতের হাড়সহ কেটে গিয়ে মারাত্মক জখম হন। এ সময় তার আতœচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে তারা এনিয়ে কোথাও মামলা করলে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এঘটনায় ভুক্তভোগী পিতা টুকু বাদী হয়ে সাহেব আলী গাজীসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার (১৭ মে) রাতে ভিলেজ পাইকগাছা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সাহেব আলীকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর বুধবার (১৮ মে) সকালে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক তার দেখানো ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী একটি খাল থেকে আলামত হিসেবে চাকুটি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এব্যাপারে পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, স্কুল ছাত্রী মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় তার পিতাকে মারপিট ও চাকু দিয়ে কুপিয়ে জখমের মামলায় বুধবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামিকে উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই