খুলনা, বাংলাদেশ | ২৭ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১২ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  আজ মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরা-বিপণনে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
  ভারতে দুই ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ, ১২ বগি লাইনচ্যুত

পাইকগাছায় ভাইপোদের হাতে চাচা খুন!

পাইকগাছা প্রতিনিধি

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে খুলনার পাইকগাছার কপিলমুনিতে ভাইপোদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন চাচা আনছার সরদার (৬৫)। সোমবার রাতে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের রেজাকপুর গ্রামের মৃত মান্দার সরদারের ছেলে।

এর আগে রবিবার ভোরে আনছার ফজরের নামাজ পড়তে বাড়ি থেকে বেরিয়ে মসজিদে যাওয়ার সময় আকষ্মিক তার ভাইপো আলতাফ, সিদ্দিকসহ তাদের ভাড়াটিয়ারা তার উপর আক্রমণ করে মারপিট করতে থাকে। এসময় তার আত্মচিৎকারে তার স্ত্রী-মেয়েরা এগিয়ে আসলে তারা তাদেরকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে দ্রুত নিজ বাড়িতে ফিরে যায়। এতে তার মেয়ে জরিনা খাতুনের মাথা ফেঁটে যায় এবং স্ত্রীর হাত ভেঙ্গে যায়। এরপর প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে তালা হাসপাতাল ও পরে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার পর থেকে আনছারের ভাইপো আলতাফ, সিদ্দিকরা পলাতক রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়।

মঙ্গলবার তার ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় কপিলমুনির রেজাকপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

পারিবারিক সূত্র ও এলাকাবাসী জানায়, পাইকগাছার কপিলমুনি ইউনিয়নের রেজাকপুর গ্রামের মৃত মান্দার সরদারের ছেলে আনছার সরদার ও তার ভাই মৃত কওছারের ছেলে আলতাফ ও সিদ্দিক সরদারের সাথে জমিজমার বন্টন নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে গোলযোগ চলে আসছিল। এনিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে বহুবার শালিসী হলেও কোন সমাধান হয়নি। একপর্যায়ে ঘটনার প্রায় ১৫ দিন আগে সর্বশেষ শালিসে আমিন দ্বারা বিবাদমান জমির আইল-সীমাণা নির্ধারণ করে পিলার পুঁতে দেওয়া হয়। ঘটনার আগের দিন সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নিহত আনছার সমুদয় সীমানা খুঁটিগুলো উঠিয়ে ফেললে সর্বশেষ ঘটনার জন্ম হয়।

স্থানীয়রা জানান, নিহত আনছারের ভাইপোরাও শ্রমজীবি ও সরল প্রকৃতির। পেছন থেকে কেউ তাদেরকে উষ্কানি দিয়ে ঘটনার জন্ম দিয়েছে।

এব্যাপারে বুধবার সকালে পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবিষয়ে কোন অভিযোগ নিয়ে কেউ আসেনি।

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!