পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে বিদ্রোহের আগুন ক্রমশ বাড়ছে। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের গোকুল নগরে ভূমি উচ্ছেদ কমিটির ডাকা তৃণমূলের বিদ্রোহী নেতা ও তরুণ তুর্কী পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর জ্বালাময়ী ভাষণ ও হুঁঙ্কারে সেই বিদ্রোহ নতুন মাত্রা পেল।
এদিন শুভেন্দুর ভাষণ শোনার জন্য পশ্চিমবঙ্গের ২৩ টি জেলার মানুষ ও শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা সামিল হন রিজার্ভ বাস ভাড়া করেই। মমতা ব্যানার্জি যে নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গরে কৃষি জমি আন্দোলনের মাধ্যমে তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনেছিলেন, আজ নন্দীগ্রাম দিবসে শুভেন্দু অধিকারী সেই তৃণমূল বা মমতা ব্যানার্জির নাম একবারও নেননি। বরং মমতা ব্যানার্জির নাম না করে তিনি আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, নন্দীগ্রামের কৃষি জমি আন্দোলন কারুর পৈতৃক সম্পত্তি নয়। এই আন্দোলন হয়েছিল এখানকার সাধারণ মানুষের দ্বারাই। এই আন্দোলনকে কারা শক্তিশালী করেছিল এলাকার লোক বিলক্ষণ জানেন।
শুভেন্দুর এই মহাসমাবেশে ষাট থেকে সত্তর হাজার মানুষ হাজির হন। এই রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, তৃণমূল ও মমতা ব্যানার্জিকে এড়িয়ে শুভেন্দুর ডাকে যে সমাবেশ হল তা এক নজিরবিহীন ঘটনা। এদিন যখন নন্দীগ্রামে গোকুলনগর হাইস্কুল ময়দানে বিদ্রোহী শুভেন্দুর সভা তখন অফিসিয়াল তৃণমূলের ডাকা আরেকটি মমতা ঘনিষ্ঠ ফিরহাদ হাকিমের আরেকটি সভায় লোকজন সেরকম হয়নি।
শুভেন্দুর মহাসমাবেশে তৃণমূলের একটা বড় অংশের তৃণমূল বিধায়ক সামিল। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলা থেকে শুভেন্দুর অনুগামীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিনে জমায়েতে নন্দীগ্রামের শহীদ জননী ফিরোজা বেগম ও শুভেন্দুর পরিবারের জনপ্রতিনিধিরাও হাজির ছিলেন। শুভেন্দুর নন্দীগ্রাম-সমাবেশ হয়তো বুঝিয়ে দিল যে, তৃণমূলের বিদ্রোহ এখন প্রতিদিনই বাড়বে।
খুলনা গেজেট/এনএম