২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করছে বিজেপি। আর এই হিসাবে প্রথম যে কাজটি বিজেপি করেছে সেটি হল, এই রাজ্যের আইটি সেলকে নতুন ভাবে ঢেলে সাজিয়ে তার প্রধান করেছে অমিত মালব্যকে। এই অমিত মালব্যের কাজ হল ফেসবুকে এমন খবর ছড়িয়ে দেয়া, যা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।
এরপরে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের ২৩ টি জেলায় সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে প্রতিটি জেলায় তার সাংগঠনিক কাজ শুরু করে দিয়েছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে আবার অমিত শাহ এই সাংগঠনিক কাজ দেখভাল করতে আগামী ৩০ নভেম্বর ফের পশ্চিমবঙ্গ সফর আসছেন। এমনকি বিজেপি সংখ্যালঘু ভোট পেতে তার সংখ্যালঘু সেলকে আরো শক্তিশালী করতে নেমে গেছে। এই সংখ্যালঘু সেলের নেতা আলী হোসেন একবার রাজ্য কমিটির সভা করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের জেলাগুলিতে সংগঠন সাজাতে উত্তরবঙ্গ সফর করছেন।
এদিকে ২৩ নভেম্বর থেকে জেলায় জেলায় তাদের সাগঠনিক কাজ-কর্ম শুরু হয়ে গেছে। ২৪ নভেম্বর থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বিজেপির রাজ্য কমিটির একেক নেতাকে এক একটি জেলায় সংগঠন দেখভাল করার দায়িত্ব দিয়েছেন । বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ থেকে দু’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রয়েছেন। এরা হলেন বিবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধূরী। বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারিত হলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরো দু- তিনজন মন্ত্রী হতে পারেন। বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের দিকে বার বার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংগঠন দেখছেন। এছাড়া কৈলাস বিজয়-বর্গী ও মুকুল রায়ের মতো ঝানু নেতারা ২০২১- এর বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছেন। এদের মধ্যে অন্য দল থেকে নেতা ভেঙে বিজেপিতে আনার দক্ষ কারিগর মুকুল রায় ।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষেকরা মনে করছেন, বিজেপি এই রাজ্যে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের মধ্যে বড়সড় ভাঙনও ধরাবে। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশসহ পাঁচটি রাষ্ট্রের সীমানা। তাই পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসার জন্য বিজেপি মরিয়া। আর এজন্যই পশ্চিমবঙ্গকেই বিজেপি পাখির চোখ করছে।
খুলনা গেজেট / এমএম