যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বড় পোদাউলিয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক রেজাউল হকের কারণে শিশুর হাত কেটে বাদ দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দেড় বছরের শিশু আফরোজা বড় পোদাউলিয়া গ্রামের খায়রুল ইসলামের মেয়ে।
অভিযোগে জানা যায়, গত ২৫ মে বাড়িতে খেলার সময় আফরোজার তরকারি কাটা বটিতে হাত কেটে যায়। এসময় বড় পোদালিয়া গ্রামের কোয়াক ডাক্তার রেজাউল হকের কাছে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। রেজাউল তার শিশু কন্যা আফরোজাকে হাসপাতালে না পাঠিয়ে নিজে সেলাই করে টাইট করে ব্যান্ডেজ বেধে দেন। রাতে শিশু আফরোজার হাতে রক্ত চলাচল করতে না পেরে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হয়। এ সময় আফরোজার পরিবারের সদস্যরা আবার ওই পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি কিছু হবে না বলে অভয় দেন।
রাতে এক পর্যায়ে অবস্থা খারাপের দিকে গেলে রোগির স্বজনেরা শিশুকে বাগআঁচড়ার জোহরা ক্লিনিকে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা ভাল না দেখে শিশুকে যশোর জেনারেল হাসপাতাল রেফার্ড করে দেন। ততক্ষণে শিশুটির হাত নেক্রোসিস হয়ে পচে গিয়ে একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তীতে শিশুটিকে ঢাকায় পাঠানো হলে সেখানে আফরোজার হাত কেটে বাদ দিতে হয়।
গ্রামবাসী জানায়, পল্লী চিকিৎসক রেজাউল এর আগেও এ ধরনের ঘটনা বহুবার ঘটিয়েছেন। গ্রামের সহজ সরল মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে তিনি বেপোরোয়াভাবে অবৈধ এসব কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তার কোন প্রাতিষ্ঠানিক চিকিৎসা সম্পর্কিত জ্ঞান নেই। অথচ তিনি ছোটখাটো এমন ধরনের সার্জারি করে যাচ্ছেন।
গ্রামের সচেতন নাগরিক সমাজ এ ধরণের কাজের জন্য পল্লী চিকিৎসক রেজাউলের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।