কলকাতার টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবী দে’র মৃত্যু রহস্যে নতুন মোড় এসেছে। তিনি যার সঙ্গে লিভ-ইন করতেন, সেই প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীর নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা করেছেন পল্লবীর বাবা নীলু দে ও মা সংগীতা দে। খবরটি জানিয়েছে আনন্দবাজার।
রোববার (১৫ মে) সকালে পল্লবীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। এর একদিন পর সোমবার (১৬ মে) দুপুরে গড়ফা থানায় আসেন তার বাবা, মা ও পারিবারিক আইনজীবী। এ সময় তারা সাগ্নিক ও পল্লবীর এক বান্ধবীর নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পল্লবীর বাবার অভিযোগ, পল্লবীর কাছ থেকে নিয়মিত আর্থিক সাহায্য নিতেন সাগ্নিক। যা বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক লেনদেনের মাধ্যমে তাকে দিয়েছেন পল্লবী। সেই সব লেনদেনের তথ্যও রয়েছে পল্লবীর পরিবারের হাতে।
এদিকে পল্লবীর পরিবারের আইনজীবী বিপ্লব জানিয়েছেন, কখনও পল্লবীর অ্যাকাউন্ট থেকে, কখনও তার মায়ের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পাঠানো হয়েছে সাগ্নিকের অ্যাকাউন্টে। পরে অভিনেত্রীকে ভুল বুঝিয়ে ১৫ লাখ রুপির একটি একটি ফিক্সড ডিপোজিটও নিজের নামে করিয়ে নেন সাগ্নিক। এমনকি প্রতারণা করে রাজারহাটের একটি ফ্ল্যাট সাগ্নিক তার বাবার নামে লিখিয়ে নেন বলেও জানান আইনজীবী।
পল্লবীর বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, পল্লবীকে ছাড়াও একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সাগ্নিকের। এমনকি পল্লবীর সঙ্গে সম্পর্কের আগে বিবাহিত ছিলেন তিনি। সেই তথ্য অনেক পরে জানতে পারেন অভিনেত্রী।
এখানেই শেষ নয়, পল্লবীর সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে থাকা অবস্থায়ই পল্লবীরই এক বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন সাগ্নিক। অভিনেত্রীর অগোচরে ফ্ল্যাটে ওই বান্ধবীকে নিয়ে আসতেন সাগ্নিক। এগুলো পল্লবী জেনে যাওয়ার পর থেকেই তাদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। অভিনেত্রীর পরিবারের অভিযোগ, এই বিবাদের জেরেই পল্লবীকে হত্যা করেছেন সাগ্নিক।
যদিও পুরো বিষয়টি এখন পুলিশি তদন্তের ওপর নির্ভর করছে। পল্লবীর মৃত্যু কি স্রেফ আত্মহত্যা নাকি খুন, সেটা তদন্তের পরই জানা যাবে।