বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনির ফেসবুক স্ট্যাটাসে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনার পর এবার গণমাধ্যমের সামনে এনেছেন বিস্তারিত বর্ণনা নিয়ে।
নিজের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ঘটনার মূল হোতা নাসিরউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। উত্তরা বোট ক্লাব নামে এক ক্লাবের সভাপতি তিনি। পেশায় ব্যবসায়ী। ঘটনার দিন রাত ১২টার পর পরিচিতজনদের নিয়ে ওই ক্লাবে যান পরীমনি। সেদিন চারজন মদ্যপ ব্যক্তি পরীমনিকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। চড়-থাপ্পড় মারেন। গায়ে আঘাত করেন। এক পর্যায়ে তাকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণের চেষ্টাও করে তারা। এমন তথ্য দিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন পরীমনি। সংবাদ সম্মেলন ছেড়ে অন্য কক্ষে চলে যান।
এর আগে রাত ৮টার দিকে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে জানান, তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। অভিযোগ আনেন হত্যাচেষ্টারও।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে আবেদনপত্রের ঢঙে লেখা ওই স্ট্যাটাসে পরীমনি লেখেন- ‘আমার আপনাকে দরকার মা। আমার এখন বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে দরকার মা। মা আমি বাঁচতে চাই। আমাকে বাঁচিয়ে নাও মা।’
পরীমনি লেখেন, ‘আমি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে রেইপ এবং হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’ পরিচিত বা চেনাজনদের যে পরীমনি এ ঘটনা বলেছেন, সেটিও তিনি লিখেছেন। তবে কারও সহযোগিতা পাননি বলে অনুযোগ করেছেন।
পরীমনি লেখেন, ‘যাদের পেয়েছি সবাই শুধু ঘটনা বিস্তারিত জেনে দেখছি বলে চুপ হয়ে যায়!’ পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদকে উদ্দেশ করেও লিখেছেন পরীমনি। তিনি লেখেন, ‘এই বিচার কই চাইব আমি? কোথায় চাইব? কে করবে সঠিক বিচার? আমি খুঁজে পাইনি গত চার দিন ধরে। থানা থেকে শুরু করে আমাদের চলচ্চিত্রবন্ধু বেনজীর আহমেদ আইজিপি স্যার! আমি কাউকে পাই না মা।’
তিনি লেখেন, ‘আমি চুপ কী করে থাকতে পারি মা? আমি তো আপনাকে দেখিনি চুপ থেকে কোনো অন্যায় মেনে নিতে!’- শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে লেখেন তিনি।
আড়াই বছর বয়সে মাকে হারানোর কথা তুলে ধরে পরীমনি লেখেন, ‘এতদিনে কখনও আমার এক মুহূর্ত মাকে খুব দরকার এখন, মনে হয়নি এটা। আজ মনে হচ্ছে, ভীষণ রকম মনে হচ্ছে মাকে দরকার, একটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরার জন্য দরকার।’