খুলনায় বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে বাগেরহাট জেলা থেকে খুলনায় যাত্রীবাহি বাসসহ সব ধরনের পরিবহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। শনিবার সকাল থেকে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, মোংলা, চিতলমারী, মোল্লাহাটসহ সকল স্ট্যান্ড থেকে বাস বন্ধ রয়েছে ।অনাকাঙ্খিত এই অবরোধে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। তবে পরিবহন মালিক সমিতি বলছে গাড়ি ও যাত্রীদের নিরাপত্তায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
খুলনায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত সব ধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধের ঘোষনা দেন খুলনা বাস মালিক সমিতি।
শনিবার দুপুরে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে সারি সারি গাড়ি দেখা যায়। পরিবহন বন্ধের কথা না জেনে রাস্তায় আসায় যাত্রীর পরিমানও কম ছিল না। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় গন্তব্যে যেতে ভোগান্তীতে পড়তে হচ্ছে তাদের। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মাহেন্দ্র, অটো ও টমটমে গন্তব্যে পৌছানোর চেষ্টা করছেন অনেকে।বাস চলাচল না ওয়ায় মাইক্রোবাসে ঢাকার উদ্যোশে মাওয়া ঘাট যেতে দেখা গেছে অনেককে।মিনি ট্রাক ও মটরসাইকেলেও গন্তব্যে পৌছানোর চেষ্টা করেছেন যাত্রীরা। হঠাৎ করে বাসবন্ধের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেণ সাধারণ যাত্রীরা।
যাত্রী সাইদুল মোল্লা বলেন, সকালে খুলনা যাওয়ার উদ্দেশ্যে সাইনবোর্ড থেকে অটোতে বাসস্ট্যান্ডে আসছি। ধর্মঘটের বিষয়ে কিছুই জানা ছিলো না। বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি কোন পরিবহনই চলছে না। জরুরীভাবে যেদে হবে তাই মটরসাইকেলে খুলনা যাচ্ছি। সাইদুল মোল্লার মত অনেকেই বাধ্যহয়ে বেছে নিচ্ছেন মটরসাইকেল, মহিন্দ্র, অটো, মাইক্রোবাস, ট্রাক, মিনি ট্রাকসহ যেকোন মাধ্যম।
খুলনায় বিএনপির সমাবেশ রয়েছে তাই মালিক সমিতির নেতারা বাস চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন পরিবহন চালকরা।
বাগেরহাট আন্তঃজেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আব্দুল বাকী তালুকদার বলেন, বাগেরহাটে পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনগুলো কোন ধর্মঘট ডাকেনি। খুলনা থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সে কারনে খুলনায় পরিবহন নিয়ে যাওয়া যাচ্ছেনা।
খুলনা গেজেট/ টি আই