সুন্দরবনের শ্যালা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া দুটি লাশের পরিচয় মেলেনি। আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত মরদেহের পরিচয় পায়নি পুলিশ। যার কারণে দাফনের জন্য মরদেহ দুটি আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিক এলাকার শ্যালা নদীর দক্ষিণ প্রান্ত থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। পরে তা হস্তান্তর করে নৌ পুলিশের কাছে।
এদিকে সুন্দরবনে মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা ও পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলা থেকে বেশ কয়েকটি পরিবার আসেন তাঁদের নিখোঁজ স্বজন কি না সেই সন্ধানে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলার ডুবে ওই এলাকার বেশ কিছু জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
চাঁদপাই নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আক্তার মোর্শেদ মুঠোফোনে বলেন, সুন্দরবনের নদী থেকে লাশ দুটি উদ্ধারের পর কোস্টগার্ড সোমবার সন্ধ্যায় তাঁদের কাছে হস্তান্তর করেছে। মঙ্গলবার বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে অর্ধগলিত লাশ দুটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কিছু নিখোঁজ জেলে পরিবারের লোকজন এসছিলেন লাশের খোঁজে। যারা আসছিলেন তারা মরদেহ দেখছে, তবে তাদের কারো লাশ না। পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব না হওয়াতে প্রয়োজনীয় আইনগত সকল ব্যবস্থা করে দাফনের জন্য লাশ দুটি আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে হস্তান্তর করা হয়েছে। লাশের ডিএনএ নমুনা সংরক্ষণ করা হচ্ছে। পরবর্তিতে কেউ দাবি করলে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
খুলনা গেজেট/ টিএ