খুলনা, বাংলাদেশ | ২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু কাল, আজ থেকেই মিনার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন হাজীরা

গেজেট ডেস্ক

চলতি বছর পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে আগামীকাল ৪ জুন। এদিন ফজরের পর থেকে মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে হজের কার্যক্রম শুরু হয়।  লাখ লাখ মানুষকে একসঙ্গে মিনায় নেওয়া সম্ভব হয় না-এজন্য পবিত্র হজ পালন করতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আজ মঙ্গলবার মিনার উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মিনা। হজযাত্রীরা মিনায় যাবেন বাসে করে। হজের অংশ হিসেবে তাঁরা পাঁচ দিন মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা, মক্কা ও মিনায় অবস্থান করবেন।

প্রত্যেক হজযাত্রীকে নিজ নিজ মোয়াল্লেম কার্যালয় থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, কখন মিনার উদ্দেশে রওনা দেওয়া হবে। একইভাবে মিনা, আরাফাত, মুজদালিফায় কীভাবে ও কখন রওনা হবেন, তা-ও জানিয়ে দেওয়া হয় আগেভাগে।

মিনার যেদিকে চোখ যায়, তাঁবু আর তাঁবু। চৌচালা ঘরের মতো এসব তাঁবুতে থাকবেন হজযাত্রীরা। এ সময় মিনায় আগুন জ্বালানো নিষেধ। কারণ, এতে তাঁবুতে আগুন লেগে যেতে পারে। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এসব তাঁবুতে আছে বাতি, বাথরুম।

হজের পাঁচ দিন ছাড়া মিনা খালি পড়ে থাকে। চারপাশের প্রবেশদ্বারও তখন বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় বৈদ্যুতিক সংযোগ, পানির লাইন, টেলিফোন সংযোগ। হজের দুই দিন আগে মিনা এলাকার ফটক খোলা হয়। হজের দুই দিন পর আবার সব বন্ধ করে দেওয়া হয়।

৮ জিলহজ মিনায় সারা দিন ও ৯ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন হজযাত্রীরা। আরাফাত থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় রাত যাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন তাঁরা। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন। মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, দমে শোকর বা কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় কাবা শরিফ তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সাঈ করবেন। সেখান থেকে তাঁরা আবার মিনায় যাবেন। মিনায় যত দিন থাকবেন, তত দিন তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন।

পবিত্র হজ ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মূল স্তম্ভের একটি। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম যেকোনো মুসলমানের জীবনে অন্তত একবার হজ পালন করা ফরজ।

প্রতিবছর জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতাগুলো সম্পন্ন করা হয়। এই সময়ের মধ্যে হজযাত্রীরা চার দিনের বিভিন্ন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেন। চার দিনের মধ্যে দ্বিতীয় দিন লাখ লাখ হাজি আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হন ও নামাজ আদায় করেন। এ পবিত্র ময়দানেই সেই পাহাড় অবস্থিত, যেখান থেকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন।

পবিত্র হজ ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মূল স্তম্ভের একটি। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম যেকোনো মুসলমানের জীবনে অন্তত একবার হজ পালন করা ফরজ।

 

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!