পদ্মা নদীতে নিখোঁজ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানির (২৬) মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে এসে বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সেলফি তুলতে গিয়ে পদ্মা নদীতে নিখোঁজ হন তিনি। নিখোঁজের প্রায় ১৪ ঘণ্টা ঘণ্টা পর শুক্রবার (১৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টা ২০ মিনিটে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
নিখোঁজ তারিকুজ্জামান সানি বুয়েটের আর্কিটেকচার বিভাগের চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শরীয়তপুরের জাজিরা থানার বাসিন্দা হারুন উর রশিদের ছেলে। তিনি ঢাকার হাজারীবাগে থাকতেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সানিকে উদ্ধারে কাজ করছিল একদল ডুবুরি। পদ্মার পাড়ে অপেক্ষায় ছিলেন স্বজনরা। ডুবুরি দলেন নেতৃত্ব দেন বঙ্গবাজার ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি আবুল খায়ের।
আবুল খায়ের বলেন, খবর পেয়ে আমরা রাত সাড়ে ১২টার দিকে এখানে এসেছি। তবে নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়।
তিনি স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, সানিসহ ১৬ জন বন্ধু মিলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মৈনট ঘাটে ঘুরতে আসে। পাড়ে রাখা একটি ড্রেজার মেশিনের উপরে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান সানি। এ সময় তার বন্ধুরা উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। তারা ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশ ডাকে। পুলিশ এসে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। রাতেই উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। প্রায় ১৪ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান আবুল খায়ের।
খুলনা গেজেট/ এস আই