বর্নাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর উদ্বোধন উদযাপন করেছে বাগেরহাটবাসী। এই সেতুই পাল্টে দিবে বাগেরহাটের অর্থনীতি, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ জেলার মানুষের জীবন মান। একারণে স্মরনীয় এইদিনটিকে বরণ করে নিতে কমতি ছিল না কোন কিছুর।
শনিবার(২৫ জুন) সকালে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে বাগেরহাট শহীদ মিনার চত্তর থেকে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালী বের করা হয়।
পদ্মাসেতু সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন ও পোস্টার নিয়ে র্যালীতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে র্যালীটি জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এসে শেষ হয়।
সেখানে পদ্মাসেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সাতদিন ব্যাপি লোকজ আনন্দ মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
পরে স্বাধীনতা উদ্যানে সাধারণ মানুষের জন্য বড় পর্দায় পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়।
এসব অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক, সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম, বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জেলার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ অংশগ্রহন করেছেন। এছাড়া বাগেরহাট শহরের বিভিন্ন সড়কে সুসজ্জিত পিকআপে বাউল শিল্পিদের দিয়ে পদ্মাসেতুর গান প্রচার করা হচ্ছে।
দুপুরে বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল, জেলা কারাগার ও শিশু সদনে উন্নত খাবার পরিবেশন করার কথা রয়েছে। বাদ আসর বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ মাহফিলেরও আয়োজন রয়েছে।
স্বাধীনতা উদ্যানে সপ্তাহব্যাপি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ৩০ জুন বাগেরহাট শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে এ্যাক্রোবেটিক শো‘র মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সব আয়োজন শেষ হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।