মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার কাছে প্রায় ৪ কিলোমিটার গাড়ির সারি তৈরি হয়েছে। এ কারণে সড়কে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার সামনে থেকে শ্রীনগর উপজেলার কেয়টচিরা পর্যন্ত এ যানবাহনের ধীরগতি দেখা গেছে। ঢাকাসহ আশেপাশের জেলা থেকে আসা এসব যানবাহন পদ্মা সেতু পারের জন্য এক্সপ্রেসওয়েতে অপেক্ষা করছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে, সকাল ১১টায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে একটি ফেরি কুমিল্লা মাঝিকান্দি ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার কাছে গাড়ির জটলা রয়েছে। এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন আটকে রাখা হচ্ছে। ধাপে ধাপে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার গাড়ির লাইন ছাড়ছে পুলিশ। আটকে থাকা গাড়ির মধ্যে বেশিরভাগ ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস, পিকআপ ও ট্রাক।
কেরানীগঞ্জ ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় যানবাহনের স্বাভাবিক চাপ আছে। ৩-৪ মিনিটের বেশি অপেক্ষা করতে হচ্ছে না এ টোল প্লাজায়। তবে পদ্মা সেতু টোল প্লাজায় এসে ১০-১৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। তবে পরিবহন সংকটের কারণে অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েছেন। পিকআপ ও ট্রাকে করেও পদ্মা সেতু পার হচ্ছেন।
এক্সপ্রেসওয়েতে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে। মোটরসাইকেল আটকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে পদ্মা সেতুর ওপরে যানবাহন স্বাভাবিকভাবে পার হচ্ছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট সোহেল হাসান বলেন, ‘মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় যানবাহনের অত্যধিক চাপ আছে। এজন্য ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়েছে। যে কারণে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। তবে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে না যাত্রীদের। টোল প্লাজায় যানবাহনের বেশি চাপ থাকার কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম শফিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘প্রায় ৩ ঘণ্টায় ১০০ মোটরসাইকেল ঘাটে জমেছিল। এজন্য একটি ফেরির মাধ্যমে পার করা হয়েছে। তবে এরপর আর যানবাহন অপেক্ষমাণ নেই। গাড়ির চাপ হলে ফেরি চালু করা হতে পারে।’
খুলনা গেজেট/ এস আই