প্রমত্ত পদ্মার বুকে গড়ে ওঠা পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিএনপির সাত নেতাকে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ। তবে আমন্ত্রণের কার্ড পাননি দলের চেয়ারপারসন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে সেতু বিভাগের উপ সচিব দুলাল চন্দ্র সূত্রধর রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন। আমন্ত্রিত বিএনপির সাত নেতার মধ্যে নাম নেই রিজভীর।
যে সাত নেতা আমন্ত্রণ পেয়েছেন তারা হলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন ঘোষণা করা হবে। এই সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে এ নিয়ে নানা আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। আমন্ত্রণপত্রও পৌঁছে গেছে অনেকের কাছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরদিন ২৬ জুন সকাল থেকে চলবে সব ধরনের যানবাহন।
বিএনপি চেয়ারপারসনকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে কোনো মন্তব্য আসেনি সেতু বিভাগ থেকে। অবশ্য গত ৫ জুন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, দুর্নীতির দুই মামলার সাজা স্থগিত হওয়ার পর শর্ত সাপেক্ষে কারাগারের বাইরে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিতে আইনি কোনো বাধা নেই।
এই সেতু নিয়ে নানা সময় নেতিবাচক মন্তব্য করার কারণে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সেতুতে নিয়ে টুস করে ফেলে দেয়ার কথা বলে তুমুল আলোচনা তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এই মন্তব্যের কারণে বিএনপি বিক্ষোভও করেছে।
দেশের সবচেয়ে বড় এই সেতু উদ্বোধনের আয়োজনটি জমকালো করতে চাইছে সরকার। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার নানা বাধা অতিক্রম করে এ সেতুটি নির্মাণ করেছে।