পদ্মা সেতুর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড এলাকা থেকে গত দেড় বছরে বিভিন্ন সময়ে অন্তত এগারজন ভারতীয়কে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে নিয়মিত টহলরত সেনা সদস্যরা। কিন্তু এর কোন রহস্য পুলিশ জানাতে পারেনি।
বিবিসি বাংলা জানায়, গত জুনে রূপসা রায় ও বিজয় কুমার রায় নামে দু’জন ভারতীয় নাগরিককে সেতুর সংরক্ষিত এলাকা থেকে সেনা সদস্যরা আটক করে।
কিন্তু এসব ভারতীয়রা পদ্মা সেতু এলাকায় কেন এসেছিলো বা কি করছিলো সে সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান।
জাজিরা থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেও তাদের কাছ থেকে কোন তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলছেন আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। “তাদের এখানে কারণ সম্পর্কে তথ্য এখনো পাইনি। তবে বিচার চলছে। তারা কারাগারে আছে,” মিস্টার রহমান বলছিলেন।
জানা গেছে সর্বশেষ গত ২৫ জুন জাজিরার নাওডোবা এলাকা থেকে রূপসা রায় নামে এক ব্যক্তিকে আটকের পর জানা যায় তিনি গুজরাটের অধিবাসী।
তার দুদিন আগে আটক হওয়া বিজয় কুমার রায়ের বাড়ি ভারতের বিহারে। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও সেতু নির্মাণের সাথে জড়িত কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম একজন ভারতীয় আটক হয়েছিলো। এরপর বিভিন্ন সময়ে বিহার থেকে আসা টুনা রায়, ওড়িশার বীরু মণ্ডল, বিহারের সোনু সিংসহ মোট এগার জনকে আটক করা হয়েছে। এদের অনেকেই উদ্দেশ্যহীন ঘোরাফেরার সময় সেনা সদস্যরা আটক করেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছে।
সেতুর প্রকল্প পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম বিবিসিকে জানান, “বিদেশি নাগরিক আটকের বিষয়টি নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেখছে। তবে এটি ঠিক যে আমাদের মূল চিন্তা হলো সেতু স্থাপনার নিরাপত্তা। সরকারের উচ্চপর্যায়েও বিষয়টি নিয়ে কথা হচ্ছে।”
খুলনা গেজেট/ এস আই