খুলনা, বাংলাদেশ | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় কিশোরগঞ্জের এসপি ও ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা প্রত্যাহার এবং কিশোরগঞ্জে দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও এসবির এক কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
  ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কায় নিহত ৫, গুরুতর আহত আরও ১০

নিত্য পণ্যের ‘বাড়তি মূল্য’ মাথা ব্যথার কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মহামারি করোনা আর কর্মহীনতা মোকাবেলা করতে মানুষ যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন খুলনায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের উচ্চ মূল্য হয়ে উঠেছে মানুষের মাথা ব্যথার কারণ।

ঈদের পর থেকে খুচরা বাজারে সব ধরণের চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে অধিক মাত্রায়। বর্তমানে বালাম আটাশ বা রত্নার পাইকারি মূল্য কেজিতে ৪৫ টাকা, যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা। স্বর্ণা মোটা সিদ্ধের পাইকারি মূল্য প্রতি কেজি ৪১ টাকা, যা খুচরা বাজারে ৪৫ টাকা। মিনিকেটের পাইকারি মূল্য ৫২ টাকা প্রতি কেজি, যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। আর সুগন্ধি চিনিগুড়া চালের পাইকারি মূল্য প্রতি কেজি ৮০/৯০ টাকা, যা খুচরা বাজারে দাম ৮৫/৯৫ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।

আলু রান্নার অতি প্রয়োজনীয় একটি উপকরণ। বর্তমানে এর পাইকারি মূল্য কেজি প্রতি সাড়ে ২৯ থেকে ৩০ টাকা, যা পূর্বের তুলনায় এক টাকা বেশি, জানান খুলনার কাঁচা বাজারের পাইকারি বিক্রেতা আবুল কালাম। খুলনার একাধিক খুচরা বাজারে এই আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫/৩৬ টাকা দরে। আলুর উৎপাদন কমে যাওয়াকে দাম বৃদ্ধির কারণ মনে করছেন একাধিক পাইকারি বিক্রেতা।

কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে অস্বাভাবিক হারে। ২/৩ মাসের ব্যবধানে কেজি প্রতি বেড়েছে ১২০ টাকা। পূর্বে মোটা দেশি ঝালের পাইকারি মূল্য ছিল ১০০ টাকা কেজি, যা বর্তমানে ২২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আমদানিকৃত ঝালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে প্রতি কেজিতে ২০ টাকা। পূর্বে এর পাইকারি মূল্য ছিল ১০০ টাকা কেজি, যা বর্তমানে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে দুই প্রজাতির ঝাল-ই বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা লাভ রেখে।

খুচরা ক্রেতা খন্দকার মিলন খুলনা গেজেটকে বলেন, “খরচ বাদে ২/৪ টাকা লাভ করলে আমরা বাঁচতে পারতাম, কেজিতে এতো বেশি রাখা অন্যায়।” তবে খুচরা বিক্রেতা মনসুর আলি বলেন, “ঝাল পরিমাণে খুব কম বিক্রি হয়, আর পঁচে যায় অনেক। একটু লাভ না রাখলে দিন শেষে লোকসান হয়।”

পেঁয়াজের বর্তমান পাইকারি মূল্য ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা কেজি। যা খুচরা বাজারে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের পাইকারি মূল্য ২৫ থেকে ৩০ টাকা, যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। দেশি ও ইন্ডিয়ান উভয় ধরণের পেঁয়াজেই কেজিতে প্রায় ৪/৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান পাইকারি বিক্রেতা উসমান হাওলাদার।

অন্যান্য সকল নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেলেও কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে রসুনের দাম। গত ২/৩ মাস রসুন পাইকারি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা। যা খুচরা বাজারে ৭০ থেকে ৯০ টাকা কেজি। যদিও অল্প সংখ্যক খুচরা বিক্রেতা ১০০ টাকা দরেও বিক্রি করছেন।

করোনায় লকডাউন, জলাবদ্ধতা ও বন্যাসহ খুচরা বিক্রেতাদের অধিক লাভের আশায় সবজির বাজারও বেশ চড়া বলে ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন। ফলে সংসার চালাতে যেয়ে মধ্য ও নিম্নবিত্তকে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে।

 

খুলনা গেজেট / এমএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!