এসো হে বৈশাখ এসো এসো— বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ বরনে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালন করছে নড়াইলবাসী।
বর্ষবরণ উদযাপন পর্ষদের উদ্যোগে জেলা প্রশাসন নড়াইলের সহযোগিতায় নড়াইল সরকারী ভিক্টোরিয়া কলেজ সুলতান মঞ্চে সকাল ১০ টায় প্রভাতী সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু হয়।
বেলা ১১ টায় এই উপলক্ষে সুলতান মঞ্চ চত্ত্বর থেকে মঙ্গল শোভযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ একই স্থানেএসে শেষ হয়।
এসময় জেলা প্রশাসন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শোভাযাত্রায় অংশগ্রহন করে। অয়োজনে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রবিউল ইসলাম, নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নড়াইলের সভাপতি মলয় কুমার কুন্ডুসহ সাংস্কৃতিক প্রেমিরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া জেলা শিল্পকলা একাডেমীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বর্ষ বরন উপলক্ষে বিভিন্ন আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে নড়াইল সদর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে ব্যতিক্রমী বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বিদ্যালয়ের ৩০০ ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের অংশগ্রহণে বিদ্যালয় চত্বর থেকে ভিন্নধর্মী সাইকেল শোভাযাত্রা বের করা হয়। করোনার ধাক্কা কাটিয়ে দুই বছর পর ব্যতিক্রমী বর্ষবরণে মেতে উঠেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ঠ পাশ্ববর্তী ১১ টি গ্রামের বাসিন্দারা।
বাইসাইকেল চালিয়ে প্রায় ১৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানান সবাই। উল্লেখ্য, ঐ এলাকায় গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় একমাত্র মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়। এখানকার শিক্ষাথীরা বাইসাইকেল চালিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ মন্ডল সহ অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, বিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীরা বাই সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। তাই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানটিও বাইকেলযোগে এলাকার ১১টি গ্রামের ১৭ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে বেড়ানো হয়েছে।
করোনার ধকল কাটিয়ে দুই বছর পর এমন একটি আয়োজন করতে পেরে সকলেই নতুন বছরের খুশিতে মেতে ওঠেন।