নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় অন্যতম আসামি নুরনবীকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে নড়াইল জেলা পুলিশ। রবিবার(০৩ জুলাই) রাত ১০ টারদিকে যশোর সদরের মনিহার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রেপ্তারকৃত নুরনবী সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের গোবরা কারিগড় পাড়ার ফয়েজ চৌকিদারের ছেলে। সে পেশায় একজন ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল চালক। ১৮ জুনের শিক্ষক লাঞ্চনার ঘটনার ভিডিও ফুটেজে তাকে জড়িত থাকতে দেখা গেছে। বিশেষ করে শিক্ষকের গলায় জুতার মালা দেওয়ার ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত নুরনবীসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাহামুদুর রহমান।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় নিজের ফেসবুক আইডিতে নূপুর শর্মার ছবি ব্যবহার করে লেখেন-প্রণাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’ জয় শ্রীরাম। এ পোস্ট নিয়ে অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ এনে বিক্ষুদ্ধ জনতা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস এবং শিক্ষার্থী রাহুল দেব রায়কে গলায় জুতারমালা পরিয়ে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জসহ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ছোঁড়ে। অধ্যক্ষ লাঞ্চনা ও পুলিশের কাজে বাঁধা দেয়ার ঘটনায় মির্জাপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মুরসালিন বাদি হয়ে অজ্ঞাত ১৭০/১৮০ জনকে আসামি করে নড়াইল সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলায় আগে গ্রেপ্তারকৃত ৪ জনের আজ থেকে ৩ দিনের রিমান্ড শুরু হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই