সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়ন আ.লীগের সহ সভাপতির পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার হয়েই উপজেলা কমিটিতে পদ পেলেন নব নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন। এটিকে সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ড ও আত্মীয়করণ বলছেন স্থানীয় নেতারা।
শ্যামনগর উপজেলা আ.লীগের কমিটিতে ঠাই পাওয়া শেখ আল মামুন জেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ কে ফজলুল হকের শ্যালক। ভারপ্রাপ্ত সভাপতির ছেলে এস.এম আতাউল হক দোলন শ্যামনগর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। আল মামুন রমজাননগর ইউনিয়ন আ.লীগের বহিষ্কৃত সহ সভাপতি। নৌকার বিপক্ষে বিদ্রোহী হয়ে ওই ইউনিয়নে তিনি চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হয়েছেন।
জানা যায়, চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গত ২৬ ডিসেম্বর সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন শেখ আল মামুন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় ২৪ ডিসেম্বর জেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত পত্রে শেখ আল মামুনকে বহিষ্কার করা হয়। একই পত্রে আরও সাতজনকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কার আদেশটি এখনও বহাল রয়েছে।
এদিকে, গত ১৫ জানুয়ারি জেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামনগর উপজেলা আ.লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন। কমিটিতে বহিষ্কৃত শেখ আল মামুনকে ২৭ নং সদস্য করা হয়েছে। এটিকে গঠনতন্ত্র পরিপহ্নি বলছেন অনেক নেতা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আ.লীগের এক নেতা জানান, নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নির্বাচন করায় দল থেকে বহিস্কার করা হয় আল মামুনকে। বহিষ্কার আদেশটি এখনো প্রত্যাহারও করা হয়নি। এরই মধ্যে উপজেলা কমিটিতে তাকে সদস্য করা হয়েছে। এটা সংগঠনের গঠণতন্ত্র পরিপহ্নি। একই পত্রে বহিষ্কৃত বাকি সাতজনকে সদস্য করা হয়নি। মূলত জেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও শ্যামনগর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এর নিকট আত্মীয় হওয়ায় স্বজনপ্রীতি ও গঠণতন্ত্র পরিপহ্নিভাবে তাকে কমিটিতে নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি একে ফজলুল হক জানান, আমরা অনেককেই সাময়িক বহিষ্কার আদেশ দিয়েছিলাম। সেটি এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি। আবার কেন্দ্র থেকেও আমাদের কাছে কোন নির্দেশনা আসেনি। উপজেলা কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে শেখ আল মামুনকে। কেন্দ্র থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত কোন নির্দেশনা না আসবে ততক্ষণ সে কমিটিতে থাকবে।
সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি কেন্দ্রে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা আসলে আল মামুনকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হবে। সেই শর্তেই তাকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই