মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় ও স্থানীয় সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (০২ ডিসেম্বর) রাতে ওই ইউনিয়নের মুন্সিবাজারে হামলার ঘটনা ঘটে।
এতে এমপি অক্ষত থাকলেও তার গানম্যান, গাড়ির চালক ও একান্ত সহকারীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এমপিকে নিরাপদে সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত দুজনকে সিলেটে রেফার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্থানীয় এমপি আব্দুস শহীদের ছোট ভাই ইফতেখার আহমদ নৌকা নিয়ে লড়ছেন। আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন বহিষ্কৃত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুনেল আহমদ তরফদার। রোববার রাতে এমপি ব্যক্তিগত একটি অনুষ্ঠান শেষ করে মৌলভীবাজার ফিরছিলেন। পথে মুন্সিবাজারস্থ নৌকার প্রধান নিবার্চনী কাযার্লয়ের সামনে এলে এলাকাবাসী তাকে চা খাওয়ার অনুরোধ করেন।
এ সময় বিদ্রোহী প্রার্থী জুনেল আহমদ তরফদার তার সমর্থকদের নিয়ে নৌকার প্রধান নির্বাচনী অফিসে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অজুহাতে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। পরে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। হামলার সময় অফিসের সাটার বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাইরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জুনেল আহমদের সমর্থকরা অফিসের সামনে রাখা এমপির গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় এমপির গানম্যান তরিকুল, গাড়িচালক স্বপন, একান্ত সহকারী ইমাম হোসেন সোহেল, শ্রীমঙ্গল আওয়ামী লীগ নেতা খালেদ সাইফুল্লাহসহ পাঁচজন আহত হন। তাদের একজনের মাথা ফেটে গেছে এবং একজনের হাত ভেঙে গেছে। পুলিশ এসে এমপিকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যায়।
কমলগঞ্জ থানা পলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এমপি সাহেব যাওয়ার সময় তার গাড়িতে হামলা করা হয়। তিনি অক্ষত আছেন। তার গানম্যান ও গাড়িচালক আহত হয়েছে। মুন্সিবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।