নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান মিম্মা তাবাস্সুমের বিরুদ্ধে নম্বর টেম্পারিং, মানসিক হেনস্তাসহ ১০টি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার ( অক্টোবর) স্নাতকোত্তর শ্রেণির ২২ জন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিজ্ঞান অনুষদের ডিন বরাবর এ অভিযোগ করেন। অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষরকারী সবাই পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী।
লিখিত ওই অভিযোগ পত্রে মোট ১০টি বিষয় উল্লেখ করেন শিক্ষার্থীরা। সেগুলো হলো, ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে শিক্ষার্থীদের নম্বর টেম্পারিং করা, সম্মিলিতভাবে পূর্বঘোষণা দিয়ে পুরো ব্যাচের নম্বর টেম্পারিং করা, বিভাগের অন্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে ব্যক্তিগত আক্রমণাত্মক মন্তব্য করা, ছোট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড় বলে শিক্ষার্থীদের হেয় করা, কথায় কথায় নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তুলনা করা, শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থা নিয়ে কটূক্তি করা, ল্যাব রুমে ক্লাস করার সময় কটু কথা বলে শিক্ষার্থীদের আক্রমণ করা, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন তোলা, উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যেতে শিক্ষার্থীদের হেয়প্রতিপন্ন করা, ‘তোমাদের ব্যাচ থেকে কীভাবে টিচার হয়, আমি তা দেখে নেব’ বলে হুমকি দেওয়া এবং কর্মচারীদের ভুল তথ্যে কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানান, গত পাঁচ বছর ধরে তারা পরিসংখ্যান বিভাগে অধ্যয়ন করছেন। ২০২১ সালের ৩ মে বর্তমান বিভাগীয় প্রধান হিসেবে মিম্মা তাবাস্সুম এ বিভাগে যোগদান করেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের নম্বর টেম্পারিং, মানসিক হেনস্তাসহ নানাভাবে অপদস্থ করে আসছেন। মিম্মা তাবাস্সুম বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার আগে কখনো তাদের এমন কোনো হয়রানির শিকার হতে হয়নি। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরই নানাভাবে হয়রানি শুরু করেন। তার কাছ থেকে কখনোই শিক্ষকসুলভ আচরণ পাননি। তাই বাধ্য হয়ে তারা লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে বিভাগীয় প্রধান মিম্মা তাবাস্সুমকে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান মিম্মা তাবাস্সুমের বিরুদ্ধে তার বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীরা একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই