এখনো জ্বলছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন। এরই মধ্যে ঝরে গেছে দশ ফায়ার ফাইটারসহ ৪৯ তাজা প্রাণ। দগ্ধ ও আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি দুই শতাধিক মানুষ। ফায়ার সার্ভিস বলছে, লাশের সারি আরও দীর্ঘ হতে পারে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, নিহতদের মধ্যে ২৫ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকিদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
আগুনে দগ্ধ ও আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বি এম কনটেইনার ডিপোর আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ইউনিটের সঙ্গে যোগ দিয়েছে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর থেকে আসা কয়েকটি ইউনিট।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক। তিনি কৌশল নির্ধারণে ফায়ার ফাইটারদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আনিসুর রহমান জানান, কনটেইনার ডিপোতে পানির উৎস না থাকায় রাতে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের খুদে বার্তায় জানানো হয়, আগুনে প্রাণ হারানো বাহিনীর সাতজনের মধ্যে মনিরুজ্জামান নামের একজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তিনি কুমিরা ফায়ার স্টেশনে নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট ছিলেন।
আগুনের পর বিস্ফোরণ
ফায়ার সার্ভিস জানায়, শনিবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় তারা। এরপর তাদের আটটি ইউনিট কাজ শুরু করে।
কিছু পরে ঘটনাস্থলে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের আরও সাতটি ইউনিট। ভোরের দিকে আশপাশের জেলা থেকে পাঁচটিসহ ১০টি ইউনিট যোগ দেয়, তবে বিস্ফোরণ অব্যাহত থাকায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আশপাশে যেতে পারেননি দীর্ঘক্ষণ। এর সঙ্গে যোগ হয় পানির স্বল্পতা।
রাত ১১টার দিকে ডিপোতে কনটেইনার বিস্ফোরণ শুরু হয়। এতে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সকাল পর্যন্ত আগুন জ্বলতে থাকে।