নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে জাতীয় ফুটবল দলের অনুশীলন। প্রথম দিনে ফিটনেস ট্রেনিংয়ে যোগ দেন ১৫ জন ফুটবলার। বৃষ্টি উপেক্ষা করে টানা দুই ঘণ্টা রানিং, স্ট্রেচিং এবং উইথ বল অনুশীলন করেছেন ফুটবলাররা।আপাতত বিদেশি কোচিং স্টাফরা না থাকায়, দেশীয় কোচদের অধীনেই চলবে প্রাথমিক অনুশীলন।
শনিবার প্রথম দিনে শিষ্যদের ফিটনেসের অবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট দলের ফিজিও ফুয়াদ হাসান হাওলাদার। তবে, নিজেদের সমস্যা আছে স্বীকার করে, দ্রুত ফিট হওয়ার আশ্বাস ফুটবলারদের।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে নিজেদের ফিটনেসে অবস্থা যাচাই করতে নেমেছিলেন ফুটবলাররা। দিচ্ছিলেন কুপার টেস্ট। কিন্তু ঘরের ট্রেনিং আর খোলা আকাশের নিচে দৌড়ানোতে যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য তা অল্পতেই টের পেয়ে যান তারা। ৪০০ মিটারের ট্র্যাকে কয়েকটা ল্যাপ দিতেই হাঁপিয়ে উঠেন রায়হান, রানা, সোহেল থেকে শুরু করে নবাগত রাসেল, সুমনরাও।
তবে ব্যতিক্রমও ছিল। সবার আগে খেলোয়াড়দের জন্য কোচের দেয়া টার্গেট ছুঁয়ে ফিটনেস টেস্টে সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন রহমত মিয়া। যদিও, ফিজিওর দাবি সন্তোষজনক ছিল সবার পারফরমেন্স।
ফুয়াদ হাসান হাওলাদার বলেন, আমরা প্রথম দিন তাদের কিছু টার্গেট দিয়েছিলাম। কমবেশি সবাই সেটা পূরণ করেছে। তবে, ফিটনেস ভালো-খারাপ এখনই বলা যাবে না। বাকি কয়েক দিনও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এরপর সব শেষে আমরা একটা রিপোর্ট তৈরি করবো। তবে, নেপাল ম্যাচের আগে সবাই ফিট হয়ে যাবে বলেই বিশ্বাস।
ফুটবলার রহমত মিয়া জানান, আল্লাহর রহমতে ফিটনেস টেস্ট খুব ভালো হলো। অন্যরাও নিজেদের টার্গেট পূরণ করেছে। তবে, এখনই নিজেকে পূরণ ফিট বলতে পারবো না। আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
প্রস্তুতি ক্যাম্প নিয়ে সাদ উদ্দিন বলেন, আন্তর্জাতিক সার্কিটে ফেরার জন্য প্রস্তুতির সময়টা কম হয়ে গেছে। আমাদের ফিটনেসের অবস্থা এখনো আপ টু দ্য মার্ক না। তবে, এগুলো কোনও সমস্যা হবে না। যে সময় আছে, কঠিন হলেও আমরা রিকভার করতে পারবো। আর নেপাল আমাদের চেনা প্রতিপক্ষ। তাই আলাদা করে কোনও কিছু ভাবছি না। নিজেদের সেরাটা দিয়ে ভালো ফলাফল করতে চাই’।
খুলনা গেজেট/এএমআর