সাতক্ষীরার কলারোয়া দমদম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চার কর্মচারী নিয়োগে ৬০ লক্ষাধিক টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে নিয়োগ বোর্ডের ডিজির প্রতিনিধি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা। শনিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে এই পাতানো নিয়োগ বোর্ড বন্ধ করার জন্য তারা ওই বিদ্যালয়ে উপস্থিত নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এসময় নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন, কলারোয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদ, নিয়োগ বোর্ডের ডিজির প্রতিনিধিদ্বয় যথাক্রমে তালা সরকারী গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক অলোক কুমার, তালা বি.দে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজান কবির ও দমদম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিমসহ পরিচালনা পরিষদের সভাপতিসহ অন্যান্যরা।
এসময় স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন, ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন, কেড়াগাছি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রুহুল কুদ্দুসসহ শতাধিক এলাকাবাসী সেখানে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ করেন এবং তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে থানা পুলিশ এসে দুই পক্ষের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ব্যাপারে দমদম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম জানান, নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগটি সঠিক নয়। এর আগেও দুই বার এই পদের নিয়োগ পরীক্ষার সময় স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে হট্টগোল করে বন্ধ করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তবে, স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম জানান, সেখানে যে নিয়োগ বাণিজ্য করা হয়েছে তার সুনির্দিষ্ট প্রমান তার কাছে রয়েছে। এই নিয়োগ বোর্ড বন্ধ করার জন্য গত ৭ অক্টোবর ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন স্বাক্ষরিত একটি আবেদন জেলা প্রশাসক বরাবর করা হয়। জেলা প্রশাসক সেটি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরারবর পাঠান। উপজেলা নির্বাহি অফিসার উক্ত বিষয়ে ব্যস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠান। তিনি এ সময় অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কোন ব্যবস্থা না নিয়েই বরং সেখানে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করলে তাতে বাধা দেয়া হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল হামিদ সেখানে নিয়োগ পরীক্ষা গোলযোগের কারনে অনুষ্ঠিত হয়নি বলে স্বীকার করলেও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠায় এই পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাব তিনি না দিয়ে আগামীকাল তার অফিসে আসার জন্য বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই