খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  মোল্লাহাটে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত অর্ধশতাধিক
  আ. লীগের দু’নেতার আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ৫০
  ত্যাগের মহিমায় সারা‌দে‌শে উদযাপিত হচ্ছে প‌বিত্র ঈদুল আজহা, ঈদের জামাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মোনাজাত

নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে মধ্যরাতে : ইলিশ শিকারে নামছেন জেলেরা

গেজেট ডেস্ক

নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় জেলেরা বুধবার রাত থেকে ইলিশ শিকারে নামছেন। সমুদ্রগামী জেলেদের সকল প্রস্তুতি আগেই সম্পন্ন করা ছিল। বুধবার রাত ১২টার ঘণ্টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে ট্রলার নিয়ে তারা সাগরে যাত্রা করবেন।

সাগর ও নদীতে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মা ইলিশ রক্ষায় ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করে সরকার। এ সময় সব ধরনের জাল ফেলা, মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার।

নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরা জাল মেরামত, ট্রলার মেরামতসহ সব ধরনের কাজ সম্পন্ন করে রেখেছিলেন যাতে দ্রুততম সময়ে তারা নিজ পেশায় ব্যস্ত হয়ে উঠতে পারেন।

ইলিশ গবেষকরা বলছেন, এই সময়ে ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে- মা ইলিশ রক্ষা করা, যাতে তারা নিরাপদে নদীতে ডিম ছাড়তে পারে। এই ডিম রক্ষা করতে পারলে তা নিষিক্ত হয়ে জাটকার জন্ম হবে। সেই জাটকা রক্ষা করা গেলে দেশে বড় আকারের ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

বাংলাদেশে ২০০৩-২০০৪ সাল থেকেই জাটকা রক্ষার কর্মসূচি শুরু করা হয়। তখন থেকেই আস্তে আস্তে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছিল। এরপর ২০০৮ সাল থেকে প্রথম আশ্বিন মাসে পূর্ণিমার আগে পরে মিলিয়ে ১১ দিনের ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তখন থেকেই এর সুফল দেখতে শুরু করেন বিজ্ঞানীরা।

তখন তারা গবেষণায় দেখতে পান যে, শুধু পূর্ণিমায় নয়, এই সময়ের অমাবস্যাতেও ইলিশ ডিম ছাড়ে। পরবর্তীতে পূর্ণিমার সঙ্গে অমাবস্যা মিলিয়ে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া শুরু হয়। বাংলাদেশের জিডিপিতে এর অবদান এক শতাংশের মতো। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী এই মুহূর্তে দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশ আসে ইলিশ থেকে।




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!