মৎস্য বিভাগের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গভীর সমুদ্র থেকে মাছ আহরন ও বিক্রয়ের অভিযোগে দুই ট্রলার মালিককে সাতদিনের কারাদন্ড ও ৫ আড়ৎদারকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পৃথকদুটি অভিযান চালিয়ে এই দন্ডাদেশ ও জরিমানা করে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ।
রবিবার(১২ জুন) ভোরে বাগেরহাট শহরের কেবি বাজার মৎস্য আড়তে অভিযান চালিয়ে আহরণ নিষিদ্ধ সময়ে মাছ বিক্রির অভিযোগে ৫ আড়ৎদারকে ২ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার রুবাইয়া বিনতে কাশেম ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক হিসেবে এই জরিমানার আদেশ দেন। এসময়, বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম রাসেল উপস্থিত ছিলেন।
অর্থদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কেবি বাজারের আড়ৎদার মো: ইস্রাফিল সরদার, আ: মান্নান, মিরাজ হোসেন, আ: সালাম ও হাফিজুল সরদার।
অন্যদিকে, বেলা ১১টায় একই সৃথানে অভিযান চালিয়ে বরগুনা জেলার পাথর ঘাটার কামরুল
হাসান মিরাজ ও বাগেরহাট সদরের সুন্দর ঘোনা এলাকার আলামিনকে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক হিসেবে এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন। এসময়, বাগেরহাট সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্মকর্তা ফেরদৌস আনসারী উপস্থিত ছিলেন। এসময়, এমভি বশির ও এমভি রাসেল নামের দুটি ট্রলারে থাকা মাছ নিলামে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালিন সময় আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত কেবি ঘাটে কোন সামুদ্রিক যান নোঙ্গর না করার আদেশ দেন। এ আদেশ অমান্য হলে কেবি বাজারের আড়ৎদার দের আইনের আওতায়
আনা হবে বলে সতর্ক করা হয়।
খুলনা গেজেট/ আ হ আ