বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৫ হাজার বিঘা জমির পানি নিস্কাশনের জন্য নির্মানাধীন স্লুইজগেটের কাজ বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসি। শনিবার সকালে উপজেলার ফাশিয়াতলা গ্রামে নির্মানাধীন স্লুইজগেট স্থলে এ বিক্ষোভ করেছে ভুক্তভোগিরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সন্ন্যাসী ফাড়ির পুলিশ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সমাজ সেবক মোঃ সেলিম হাওলাদারের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সন্ন্যাসী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ তালেবুল্লাহ শিকদার।
ফাশিয়াতলা গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য আশরাফ আলী মোল্লার দায়ের করা এক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় ভুক্তভোগি এলাকাবাসি ওই বিক্ষোভ করলে পরিস্থিতি অবনতি হয়। এ সময় সন্ন্যাসী ফাঁড়ির পুলিশ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও স্থানীয় মোঃ সেলিম হাওলাদারের উপস্থিতিতে অভিযোগকারী সাবেক পুলিশ সদস্য আশরাফ আলী মোল্লা এলাকাবাসির কাছে ক্ষমা চাইলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
সাবেক পুলিশ সদস্য আশরাফ আলী মোল্লা বলেন, চাকুরির সুবাদে আমরা এলাকার বাহিরে থাকি তাই আমরা বিষয়টি বুঝতে পারিনি। বোঝার ভুলে দুটি অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। এখন বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। এ উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।
এলাকাবাসির পক্ষে সাইফুল ইসলাম বলেন, এই স্লুইজগেটটি আমাদের প্রানের দাবী। স্লুইজগেটটি নির্মান সম্পন্ন হলে ৫ হাজার বিঘা ফসলি জমিতে কৃষক চাষাবাদ করতে পারবে। তাই এই স্লুইজগেটটির বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবেনা।
মোঃ সেলিম হাওলাদার বলেন, এই স্লুইজগেটটি নির্মান হলে ৪থেকে ৫হাজার মানুষ জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি পাবে। কৃষক মাঠে নিশ্চিন্তে চাষাবাদ করতে পারবেন। এই স্লুইজগেটটি এলাকাবাসির প্রানের দাবি ছিল। ২০০০ সাল থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করে এলাকাবাসির প্রানের দাবি আমি পূরন করতে পেরেছি। এ ছাড়াও সাবেক পুলিশ সদস্য আশরাফ আলী মোল্লার যদি সামান্যতম ক্ষতি হয় তাহলে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে ক্ষতি পুশিয়ে দেয়ার সর্বচ্চো চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।
সন্ন্যাসী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ তালেবুল্লাহ শিকদার বলেন, পুলিশ সুপার বরাবরে দায়ের কার অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সরেজমিন এলাকাবাসির সামনে তদন্ত সম্পন্ন করেছি। যথাসময়ে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবো।
খুলনা গেজেট/ টিএ